ফ্ল্যাপে লিখা কথা
মিজান সাহেজ এক সকালে তার বাইরের ঘরের দরজা খুলে দেখেন একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার দরজার সামনে। মেয়েটা তার মেজো মেয়ের বয়সী, মেজো মেয়ের মতোই অসম্ভব রূপবতী সে। মিজান সাহেব একটু গভীরভাবে খেয়াল করলেন মেয়েটার দিকে হাসলে মেয়েটার গালে টোল পড়ে হাসলে টোল পড়ে তার স্ত্রীর গালেও।
মেয়েটা ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মিজান সাহেক কিছুটা অবাক হেয় বললেন, ‘তুমি কি এ বাসার কাউকে চেনো?
মেয়েটা বলল, ‘না’।
‘কাউকেই চেনো না?’
‘না আঙ্কেল, কাউকেই চিনি না’।
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে-মিজান সাহেব কী পছন্দ করেন, না অকপটে সেটা বলে দিচ্ছে মেয়েটা। বলে দিচ্ছে মিজান সাহেবের স্ত্রী, দু ছেলে, তিন মেয়েরও সবকিছু।
মেষে মেয়েটা হাসতে হাসতে বলল, ‘আংকেল আমার নাম যূথী। আমি এ বাসার কাউকে চিনি না, কিন্তু আপনাকে চিনি। আমি আপনার বাসায় কয়েকদিন থাকতে এসেছি, আপনি কি থাকতে দেবেন?’ ভীষণ অবাক হেয় যান মিজান সাহেব। যে মেয়েকে তিনি কোনো দিন দেখেননি, ওই মেয়েটা বলসে সে নাকি তাকেচেনে। মেয়েটা আবার কয়েক দিন থাকতে চাইছে তার বাড়িতে । কেন? মেয়েটার দিকে পূর্ণ চোখে মিজান সাহেব আবার তাকালেন। মেয়েটা হাসছে রহস্যময় হাসি!