“বকুল কথা” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা:
যখন আমাদের সমাজে অন্তঃপুর ছিল অবহেলিত, যখন সেখানকার প্রাণীরা পুরোপুরি আস্ত মানুষের সম্মান কখোনো পেত না, তখন সামান্য কটি মেয়ে এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করে, সমাজের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত পৃথিবীর আলো এনে দেবার সুযোগ করে দেয় অন্তঃপুরে। সত্যবতী ছিল সেই সামান্য কজন মেয়ের অন্যতম। সত্যবতীর মেয়ে সুবৰ্ণলতা সত্যবতীর মত তেজ না পেলেও নীরবে সেই নারীমুক্তিরই আকাঙক্ষাকে লালিত করে গেছে। সেই আকাঙক্ষা ফলবতী হয়েছে সুবৰ্ণলতার মেয়ে বকুলের জীবনে, যে যশস্বী লেখিকা হয়েছে। অনামিকা দেবী নামে। কিন্তু বকুল তথা অনামিকা কি তার সমাজের নূতন রূপে মা ও দিদিমার সাধনায় সাফল্য দেখতে পাচ্ছে? না দেখছে শেকল-ছোঁরার এক ভয়াবহ উন্মাদনায় নারী-প্রগতির নামে চলছে স্বেচ্ছাচার! এই জিজ্ঞাসাই বকুল বা করে তুলেছে। আশাপূর্ণ দেবীর সত্যবতী ট্রিলজির এই শেষ খণ্ডে এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে—স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচার এই দুইটির সীমারেখা কোথায় ? সে সীমারেখার অন্বেষই বকুলকথা উপন্যাসের মূল উপজীব্য।