ফ্ল্যাপে লিখা কথা
সব লেখা নয় , কিছু কিছু লেখা, বিশেষ ভাবে সনাক্ত কর একজন লেখককে।আর্টিস্টদের ‘সিগনেচার পেইন্টিং’ এর মতো। বলা যেতে পারে , ‘সিগনেটার রাইটিং’। তেমন একটা বই , ‘আমি সাতটা’। শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলামের অনবদ্য সাতটা গল্পের সংকলন।
সিগনেচার রাইটিং।শিশু সাহিত্যের সব দিগ্বিজয়ীলেখক, আমীরুল ইসলামের প্রথম গল্পের বই এটা। এর আগেই ‘খামখেয়ালী’ ছড়াগ্রন্থের জন্য অগ্রনী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪ পেয়েছেন তিনি। তারপর ‘আমি সাতটা’ । সাতটা গল্পেই লেখক আমীরুল ইসলাম তাঁর জাত পাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন । চিনতে যে ভুল হয়নি পাঠকদের পরবর্তীতে তা প্রমাণিত । বিশ বছর পর পাঠক নন্দিত এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হলো। শিশু কিশোর সাহিত্যের পাঠকদের জন্য এর চেয়ে আনন্দের কী হতে পারে আর?
দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা
বই পড়তে খুব ভালোবাসতাম। তাই খেলতে খেলতে একদিন লিখতে শুরু করলাম।ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ,নিবন্ধ,-সবকিছু লেকার চেষ্টা করতাম। ছোটদের পাতাতে গল্পগুলো ছাপা হলে খুব আনন্দ পেতাম।
৮৫ সালে -সাতটা বাছাই গল্প নিয়ে বইটা বের হয়েছিল। হাবিব ওয়াহিদ, মোজাফফর শামস আমার বন্ধুরা মিলে বইটা প্রকাশ করে । ইমদাদুল হক মিলন বইটির নাম দিয়েছিলেন। প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন লুৎফর রহমান রিটন। বইমেলা (তখন এত ভিড় হতো না) মাঠে দুটো গল্প পড়ে হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে-একথা বলব না। কিছু হয়েছে এটাই বলব।
সেই কথা শুনে খুব উৎসাহ বোধ করেছিলাম। বই মেলায় ধ্রুব এষ ( তখনো প্রচ্ছদ আঁকা শুরু করেননি) বইটির দশটি কপি কিনলেন।খুব ভালো লেগেছিল বইটা তার।র আজ ২৫ বছর পরেও বইটার দ্বিতীয় সংস্করণের উদ্যোগ ধ্রুব এষই নিয়েছে। ধ্রুব আজ অনেক বড় শিল্পী, অনেক বড়ে লেখক।
ধ্রুব, বইটার সঙ্গে অনেক আবেগ ছড়িয়ে আছে। অনেক স্মৃতি- বিস্তারিত একদিন লেখা যাবে।
বইটি প্রকাশ করল আমাদের প্রিয় ভাগ্নে এ, কে, এম তারিকুল ইসলাম। কেন প্রকাশ করল – সেটা ও ভালো বলতে পারবে।
যখন পেছনের দিকে তাকাই তখন মনে হয় – আমাদের শৈশব,কৈশোর,যৌবনের দুরন্ত দিনগুলো বড় সুন্দর ছিল।
সুন্দর দিন গুলো কেন হারিয়ে যায়? তারই স্মৃতি চিহৃ হিসেবে হয়তো রয়ে যায় ‘আমি সাতটা’র ছোট ছোট গল্প গুলি।
আমীরুল ইসলাম
৫৫, গোলারটেক,মিরপুর-১
ঢাকা
সূচিপত্র
* অদ্ভুত একজন
* রক্তগোলাপ
* সেই অভিশপ্ত দ্বীপ
* সাইকেল! সাইকেল
* এলোমেলো দিপু
* আমার নাম খট্রা
* সত্যি ভূতের পাল্লায়