ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
মাঝেমধ্যে নিজের দিকে তাকালে আমার মনে হয় মাস্তানি জিনিসটা মেয়েদের যৌবনের মতো হয়তো এক অর্থে কিন্তু আরেক অর্থে অসুখের মতো। ভয়ংকর অসুখের মতো। রক্তের অসুখ। লিউকোমিয়া। ব্লাড ক্যান্সার। রক্তের মধ্যে মাস্তানি জিনিসটা একবার ঢুকে গেলে নিস্তারের আর কোনও উপায় নেই। নিস্তার পেতে হলে শরীর থেকে পুরো রক্ত বের করে দিতে হবে। মৃত্যু। মৃত্যুই হচ্ছে মাস্তানির শেষ পরিণতি। আর সেই মুত্যুও স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। অপমৃত্যু। অপঘাতে মৃত্যু। নিজের দিকে তাকিয়ে খুব একা থাকলে মাঝে মধ্যে আমি সেই মৃত্যুর কথা ভাবি। মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকি। কবে আসবে মৃত্যু? কীভাবে আসবে মৃত্যু? গণপিটুনিতে মরে যাব! নাকি গুলি খেয়ে। ছোরার আঘাতে, নাকি ককটেল খেয়ে টুকরো টুকরো ছিটকে পড়বে শরীরের বিভিন্ন অংশ! এক জায়গায় একটা হাত, একটা চোখ কিংবা একটা পা। আরেক জায়গায় এই তিনটি জিনিস ছাড়া শরীরের বাকি অংশ। কীভাবে আসবে আমার মৃত্যু! আজ দুপুরে আমাদের ফ্ল্যাটে, আমাদের ড্রয়িংরুমের লম্বা সোফাটায় শুয়ে শুয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে এসব ভাবছিলাম। কেন যে! কখন কোন মুহূর্তে যে মানুষের কোন কথা মনে পড়ে! কেন যে মনে পড়ে, কেউ তা জানে না। আমিও জানি না! কেন আমার মৃত্যুর কথা মনে পড়ল। কীভাবে আসবে মৃত্যু সেই কথা সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে অনেক্ষণ ধরে কেন ভাবলাম আমি!