ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। সে কারণে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনা-চিন্তা ও বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থেমে থাকেনি কখনো। আমি যখন স্কুল-কলেজের ছাত্র ছিলাম তখন পাঠ্য বইয়ের বাইরে বিজ্ঞান বিষয়ক সৃজনশীল বই তেমন পাওয়া যেত না। তখন ভীষণ অনুভব করতাম বিজ্ঞানের বই গল্পের মতো করে পড়ব। যে বই পড়ে আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে না, কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারব। তখন তা সম্ভব হয়নি। সেই প্রয়োজনীয়তা অনুভব আর বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহের কারণে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা, সাম্প্রতিক পত্র-পত্রিকা এবং ইন্টারনেটের যথাযথ সাহায্য নিয়ে ‘বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা’ বইটি লেখার চেষ্টা করেছি।
বিজ্ঞান এমন এক শৃঙ্খলাবদ্ধ জ্ঞান-যেখানে কল্পনা ও ভাব-ভালোবাসার আশ্রয় নেই একেবারেই। পর্যবেক্ষণ, প্রশ্ন, প্রশ্নের মাধ্যমে যুক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানই বিজ্ঞান। তাই বিজ্ঞান হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট জ্ঞান।
এ বইয়ে বিজ্ঞানের ইতিহাস, ঐতিহ্য- ক্রমানুসারে তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তরযুগ থেকে তাম্রযুগ, তাম্রযুগ থেকে লৌহযুগ, লৌহযুগ থেকে যন্ত্রযুগ, তারপর বিদ্যুতের যুগ, সবশেষে পারমাণবিক যুগের ইতিহাস পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও গ্রিক, মিশর, মেসোপটেমিয়া, সিন্ধুসহ অন্যান্য সভ্যতায় বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার কথা বলা হয়েছে। যেমন-রসায়ন, পদার্থ, চিকিৎসা জ্যেতির্বিজ্ঞান, গণিত, প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা রয়েছে। বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের বর্ণনাও রয়েছে এ গ্রন্থে। আশা করি আমাদের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে বইটি সহায়ক হবে।