বাংলার ইতিহাস : সুলতানী আমল

৳ 550.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9847000000453
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৫০১
সংস্কার 2nd Printed, 2013
দেশ বাংলাদেশ

“বাংলার ইতিহাস : সুলতানী আমল” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
“ইতিহাসে কোন কথার শেষ নেই। আজ যাহা সিদ্ধান্ত করা হয়, নূতন তথ্য আবিষ্কৃত হইলেই হয়তাে তাহা পুনর্বিবেচিত হওয়ার প্রয়ােজন দেখা দিতে পারে। সমসাময়িক ইতিহাসের অভাবে মুসলমান আমলের বাংলার ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই সত্য আরও প্রকট হইয়া উঠে। নূতন শিলালিপি বা মুদ্রা বা কোন সমসাময়িক উপকরণ আবিষ্কৃত হইলে ঐতিহাসিকদের নূতনভাবে চিন্তা করিতে হয় এবং প্রাপ্ত উপকরণের আলােকে স্বীয় সিদ্ধান্ত বারবার পরিবর্তন করিতে হয়।” এই বই-এর প্রত্যেক সংস্করণে বা মুদ্রণে তথ্যের সংযােজন, সংশােধন বা পরিমার্জন করা হয়েছে। ইতােমধ্যে সুলতানী আমলের বেশ কিছু শিলালিপি এবং মুদ্রা আবিষ্কৃত হওয়ায় সেগুলাের মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমার লিখিত Corpus of Arabic and Persian Inscriptions of Bengal এবং সুখময় মুখােপাধ্যায়ের লিখিত “বাংলায় মুসলিম অধিকারের আদি-পর্ব” বই দুটিও উল্লেখযােগ্য সংযােজন। সুখময় মুখােপাধ্যায়ও তাঁর “বাংলার ইতিহাসের দু’শাে বছর” বইখানি কয়েকবার সংশােধন ও পরিবর্ধন করে প্রকাশ করেছেন।

প্রফেসর আবদুল করিম চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামে প্রাথমিক ও জুনিয়র মাদ্রাসা শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি চট্টগ্রাম ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান মহসিন কলেজ) থেকে ১৯৪৪ সালে হাই মাদ্রাসা ও ১৯৪৬ সালে আই. এ. পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে ইতিহাসে বি. এ.

অনার্স ও ১৯৫০ সালে ঐ একই বিষয়ে এম. এ. পাশ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে লেকচারার হিসেবে যােগদান করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ১৯৬২ সালে। লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি. এইচ-ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিসের বিষয় ছিল ‘সােশ্যাল হিস্টরি অব দি মুসলিমস্ ইন বেঙ্গল’ এবং লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিসের বিষয় ছিল মুর্শিদকুলী খান এ্যান্ড হিজ টাইমস্ । ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রীডার পদে উন্নীত হন। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের রীডার ও প্রফেসর পদে উন্নীত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আলাওল হলের প্রভােস্ট এবং কলা অনুষদের ডীনের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত উপাচার্যের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি কয়েক বৎসর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ-এ সিনিয়র ফেলাে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপার নিউমারারী অধ্যাপক পদেও কর্মরত ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বহু দেশও ভ্রমণ করেছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৪শে জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ