“বাংলাদেশের গণহত্যা’৭১” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
একাত্তরে পাকবাহিনীর দোশর ছিলাে এদেশীয় রাজাকার, আল-বদর ও আলশামসের সদস্যরা। ওরা ছিলাে স্বাধীনতা বিরােধী, রক্তলােলুপ, নারীলােলুপ, হিংস্র জানােয়াররূপী মানুষ। এদের প্রভু এবং এদেশীয় জামাতীরা নিরন্তর গণহত্যা চালিয়েছে। আমরা ভুলে যাইনি রক্তখেকো গােলাম আজম, মওলানা ইউসুফ, ফকা চৌধুরী, সাকা চৌধুরী, কামরুজ্জামান, নিজামী, মাওলানা সাঈদী, কাদের মােল্লা, মীর কাসেম আলী, শর্ষিনার পীর, কুষ্টিয়ার চিকন আলী, সদ, হাজী সিরাজ, ফরিদপুরের মুসা বিন শমসের, নােয়াখালীর কালাম, একে আজাদ, মনসুর, মাগুরার বক্কার, রেজাউল, সালাম মাস্টার, টাংগাইলের খালেক প্রফেসার, ক্যাপটেন বাছেত, শহীদুল্লাহ, ওয়াসেফ, তালেব, আশরাফ মওলানা, মীর সােহরাব, নারায়ণগঞ্জের। মনছুর কেরানী, অধ্যক্ষ হান্নান, যশােরের এসপি এনামুল হক, ভৈরবের মাহবুব, ময়মনসিংহের। হান্নান, মতীন, জব্বার, চান সুরুজ, নােয়াখালীর মওলানা রেদওয়ান, কুমিল্লার আদম শফিউল্লাহ, জামালপুরের আশরাফ, মনসুর পাহলােয়ান, জয়পুর হাটের আবদুল আলীমসহ দেশের প্রতিটি জেলার একাত্তরের দানবদের নাম।
এই গ্রন্থটিতে একাত্তরের গণহত্যার সচিত্র ঘটনা উপস্থাপন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এই গ্রন্থটি প্রামাণ্য দলিল-উপকরণ হিসেবে আদালতে গৃহীত হবে। অধিকাংশ রচনা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি সম্পাদিত বাংলার বাণীর বিশেষ সংকলন ‘বাংলাদেশে গণহত্যা’ থেকে সংগৃহীত। আমরা তাঁর কাছে ঋণী। মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্য-উপাত্ত গ্রন্থটিতে বিধৃত করা হয়েছে এবং সংগৃহীত রচনাগুলাে ৭২-এ রচিত।