“শেয়ার বাজারের কলাকৌশল” বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া:
শেয়ারবাজারের কলাকৌশল নিয়ে পত্রিকায় একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। বন্ধু জুয়েল আইচ সেই নিবন্ধটি পড়ে বললেন, একটি বই করে দিতে হবে। বন্ধু এবং বন্ধুপত্নী বিপাশা আইচ আমাকে অনেক স্নেহ করেন। তবে বন্ধুর সেই দাবিটি আমার প্রতি তাদের স্নেহের স্বাভাবিক প্রকাশ নয় বলে আমার মনে হয়েছে। কারণ কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, শেয়ারবাজারের উপর এ জিনিস তিনি এই প্রথম পেয়েছেন। যাই হােক আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যও তিনি এরকম মন্তব্য করতে পারেন। যদি তাই হয় তাহলে বলতেই হয় একটি বই লেখার জন্য বন্ধুর একটি মন্তব্যই যথেষ্ট।
শেয়ারবাজারের কর্মকাণ্ড একটি চলমান প্রক্রিয়া। বই মূলত একটি স্থিরচিত্র। সেক্ষেত্রে কোন বইতেই এর পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে না। তবে একটি বইয়ের মাধ্যমে একটি বিশেষ সময়ের চিত্র পাওয়া যেতে পারে যা থেকে পাঠক এর স্বরূপটি বুঝতে পারেন। তাছাড়া কোন বইই কারাে জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে না শুধু ইশারায় পথ দেখাতে পারে মাত্র। ব্যক্তিগত সাফল্য নির্ভর করে ব্যক্তির চর্চা বা অনুশীলনের উপর। এই বইটিও পাঠককে আমাদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে অন্তত প্রাথমিক ধারণা দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
যার সহায়তা না পেলে লেখাগুলাে বই আকারে প্রকাশ পেত না তিনি হলেন বন্ধু আইয়ুব হােসেন। বন্ধু আইয়ুব হােসেন এবং একই সঙ্গে বইটির প্রকাশক জনাম মােঃ ফজলুল হকের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।