“বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ দিনগুলো” বইটিতে লেখা শেষের কথা: বাহাদুর শাহ আজ নেই, আছে তার বংশের শেষ প্রদীপ লায়লা উমাহানি বেগম। মােগল বংশের শেষ জীবিত সলতে, যে বংশ পৃথিবীতে সর্বাধিক সংখ্যক সম্রাটের জন্মদাত্রী। এই তুলনাহীন বংশের বিভিন্ন শাখা চিন, তুরস্ক, পারস্য ও ভারত সাম্রাজ্য শাসন করেছে। পৃথিবীতে যে ক’বার পুরুষ বীরশক্তির অ মৃৎপাত ঘটেছে তার মধ্যে অন্যতম বিস্ময়কর দুই ব্যক্তির রক্ত বইছে এই মােগল বংশে। হিন্দুস্থানের একচ্ছত্র মালিক থেকে দীনতম ফকির হয়ে যাওয়া বাহাদুর শাহকে ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় অশীতিপর লায়লা উমাহানি বেগমের মধ্যে। আর বার্মার নির্বাসিত জীবনের ও মৃত্যুর পর বাহাদুর শাহের সমাধি নিয়ে টানাপােড়নে জানা যায় আরেক জীবনের কাহিনী।
এই বইয়ের ভূমিকা ও মূল অংশ বাহাদুর শাহ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দেবে। আর এই মানুষটি শেষ জীবনে লেখার জন্য একটি খাতা বা খাতার পাতা পাননি। শেষ চারটি বছর কত দীর্ঘ ছিল তাঁর, কত যুগ ছিল? কেন ইংরেজরা এই নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছিল? সম্রাটের খাবার, শরাব, শায়ের, সাকি, গজল ও মুশায়েরার মুলুক সন্ধান মিলবে।