”মূলত মানুষ, মূলত মানস” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা :
মূলত মানুষ, মূলত মানস পাঠকের সামনে সংকলিত করেছে ইমতিয়ার শামীমের গদ্যের আর এক অভিক্ষেপ। বিভিন্ন সময়ে ছাড়া-ছাড়াভাবে যেসব গদ্য তিনি রচনা করেছেন, সেসবের মধ্যে থেকে নির্বাচিত এই কয়েকটি গদ্যের মধ্যে দিয়ে আমরা আসলে পরিকল্পিত হতে দেখি আবহমান সমকালীনতা । ইমতিয়ার শামীমের এইসব ব্যক্তিগত গদ্য তাই শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত থাকে না, তা স্পর্শ করে বৃহৎ জনজীবনের নির্মাণপ্রক্রিয়াকে।
এবং আমরা অনুভব করি, প্রকারান্তরে তিনি ব্যক্ত করেন নিজের মনন গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া, ব্যক্ত করেন তাঁর ওপর সমাজ ও সমাজের মানুষের অধিকরণ প্রক্রিয়া। মৃত্যু ইমতিয়ারকে কীভাবে স্পর্শ করে, কীভাবে স্পর্শ করে জীবনসমূহের আরও একটি নতুন জন্মদিন, কীভাবে তিনি বারবার ফিরে যান বইয়ের কাছে, কীভাবে তাঁকে বইয়ের জগৎ বারবার ঠেলে দেয় মানুষের ভীড়ে মূলত মানুষ, মূলত মানস সেসবের এক অনন্য বিবরণ ।
মানুষের এই ভীড় ও জাগরণই ইমতিয়ার শামীমের শেষ নির্ভরতা। তিনি তাই হয়ে উঠতে পারেন মৃত্যুদণ্ডে হাসান আজিজুল হক কিংবা গভীর নির্জনতর পথের পথিক সনৎকুমার সাহার সমর্থক, তিনি তাই শ্লোগান দিতে পারেন নিপীড়িত আফ্রিকা ও যুদ্ধপীড়িত লেবাননের মানুষের ভীড়ে দাঁড়িয়ে, নিজের জন্যে আলাদা কোনও জায়গার বিন্দুমাত্র প্রত্যাশা না করে।