সূচি
ভূমিকা
চিলির বালিকা মারিয়ো ভার্গাস য়োসা
দূর সম্পর্কের আত্মীয়া
অরহান পামুক
অনুসৃতি
টনি মরিসন
ভূমিকা
চিলির বালিকা অনুবাদ গল্প সংকলনে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বড় গল্প সংকলিত হয়েছে। দুইটা গল্প দুই ল্যাটিন আমেরিকান লেখকের একটা প্রাচ্য দেশীয় লেখক অরহান পামুকের। ২০১০ সালের পেরুভিয়ান নোবেল বিজয়ী লেখক মারিয়ো ভার্গাস য়োসার ‘নষ্ট মেয়ে’ গল্পের এডিথ গ্রমসনকৃত ইংরেজি অনুবাদ ‘চিলির বালিকা’ এই অনুবাদগ্রন্থের নামগল্প।
চিলির বালিকা গল্পের পটভূমি আমাদের দেশের চেয়ে আলাদা হলেও, ঘটনা প্রবাহে কিছুটা মিল লক্ষ্য করা যায় তখনকার ল্যাটিন আমেরিকার সংস্কৃতির সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির। তখনকার ল্যাটিন আমেরিকার কৃষ্টি সংস্কৃতি তখনকার মানুষের মানসিকতা তাদের পরনিন্দা প্রবণতা, পরচর্চা, সবকিছু এ গল্পের মধ্যে বিধৃত। লেখকের বর্ণনাভঙ্গীর বিশেষত্ব অনুবাদে যথাসম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ গল্পে তখনকার ল্যাটিন আমেরিকার সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে আশ্চর্য জাদুকরী ভাষায়। গল্পের ঠাসবুনোটে নায়কের অনুভূতি প্রেম সমাজভাবনা দর্শন যেন চালুনিতে ছাঁকা রত্নখণ্ড। প্রেমিকার জন্য তার হৃদয়স্পর্শী হাহাকার পাঠকের মন স্পর্শ করতে বাধ্য। ‘দূরসম্পর্কের আত্মীয়’ গল্পে ২০০৬ সালের নোবেল বিজয়ী তুর্কী লেখক অরহান পামুকের গল্পের নায়ক এক দূর্দৈবের শিকার হয়ে নিশ্চিত সম্ভাবনাময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ভেঙ্গে লাস্যময়ী সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী এক সমালোচিত মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। গল্পটিতে তুরস্কের সমাজবাস্তবতার সঙ্গে আলোর নীচে অন্ধকারের দিক মুন্সিয়ানার সঙ্গে লেখক তুলে ধরেছেন।
‘অনুসৃতি’ গল্পে ১৯৯৩ সালের আমেরিকান নোবেল বিজয়ী নারী লেখক টনি মরিসন অতীতে ডুব দিয়ে খুঁজে চলেছেন আচরণের অসঙ্গতির কারন। সাদা-কালো সুস্থ-অসুস্থ, ধনী-গরীবের যে চিরন্তন প্রভেদ আমাদের মনের গোপন কোনে লালিত হতে থাকে শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে উপযুক্ত পরিবেশে প্রকাশের সে গল্পই টনি মরিসন করেছেন। দুই অনাথ স্মৃতিকে সঙ্গে করে কীভাবে জীবনের প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করে তার আশ্চর্য লিখন এই গল্প।
— বিপাশা মন্ডল