জুয়াড়িতে দস্তইয়েস্কির আত্মজৈবনিক উপাদান তার। অন্যান্য উপন্যাসের চেয়ে বেশি। এ তাঁর নিজের কাহিনী। এ উপন্যাসের নায়ক আলেক্সেই লেখক নিজে। নায়িকা। পলিনাও বাস্তব চরিত্র— পলিনা সুসলোভা। জুয়াড়ি এ দুজনের সম্পর্কের গল্প। দস্তইয়েফস্কির কাছে জুয়া বাস্তব জগৎ-সংসারে মুক্তির প্রথম অভিজ্ঞতা। জুয়া ছিল দস্তইয়েস্কির জন্যে উচ্চমাত্রার এক আত্মিক নাটক। আত্মার নৈরাশ্য ও পরিত্রাণের আশা–দুটোই তিনি একসঙ্গে দেখতে পেতেন জুয়ার টেবিলে। আনা গ্রিগোরিয়েভনা স্নিৎকিনার সহযোগিতা নিয়ে মখে মুখে জুয়াড়ি লিখতে বসার তিন বছর আগে ১৮৬৩ সালে। পলিনার সঙ্গে ইয়োরোপ ভ্রমণ আর জুয়াঘরগুলোতে ফতুর হওয়ার অস্থির দিনগুলোতে দস্তইয়েস্কি একটি গল্প লেখার কথা ভেবেছিলেন। ১৮৬৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিসবাদেন থেকে পিতেরবুর্গে প্রকাশক-বন্ধু স্ত্ৰাখোভের কাছে এক চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এ মুহূর্তে তৈরি কোনো লেখা আমার হাতে নেই। তবে একটা গল্পের ভাবনা দাড় করিয়েছি। এক যুবক তিন বছর ধরে এখানকার জুয়ার ‘শহরগুলোতে কীভাবে রুলেতে জুয়া খেলছে, তারই গল্প।’