ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
শাকুরকে দিয়ে কিছু একটা করানো কঠিন।অথচ একবার শুরু করাতে পারলে সেই কাজের পরিসর সে আদিগন্ত প্রসারিত করে তার ভেতরে ওড়াতে থাকে হাজার ফানুস।চরিত্রের এই শৈল্পিক দিকটা জানি বলেই আমাদের পিপি ট্যুরে শাকুর মজিদ হয়ে য়ায় অনিবার্য। ট্যুরে যখন থাকি তখন টের পাই না। ট্যুরে আমরা সবাই যা করি, যেভাবে দেখি শাকুরকেও তাই করতে দেখি। কিন্তু শাকুরের সেই দেখার প্রকাশ করার ভঙ্গি দেখে আমরা উদ্বেলিত হয়ো যাই।গত ৮ বছরে একসাথে আমরা প্রায় ১২ টির মতো দেশ ঘুরছি। ভ্রমণের সময় টুকটাক নোট করা ছাড়া আর কোনো বাড়তি কাজ সে করে না।অথচ সেই একই ভ্রমণ নিয়ে সে যখন লেখে তখন চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতোই এগুলো নিখুঁতভাবে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে।আমাদের নিছক আনন্দ ভ্রমণের এ যেন এক কারুকার্যময় প্রকাশ। শাকুরের এই সৃষ্টি সুখের উল্লসিত ডানা জাপটে ধরে আমরা ক্রমাগত অনুপ্রাণিত হতে হতে উড়ে উড়ে ছুটি চিলি কিংবা এথেন্স, প্যারিস, বার্লিন অথবা ঘরের কাছে মায়ানমার, কুনমিং না হয় আন্দামান…..
আমরা বিহঙ্গ হই
আমাদের গান আর চারণ কাব্য
ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার অপার বিস্ময়
সবি দেখি এই হাতে শিল্পিত মমতায়
গ্রন্থি, বিত্রিত, প্রকাশিত হয়ে যায়।
ভূমিকা
২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে একদিন হঠাৎ আরিফ ভাই আমার কাছে পাসপোর্ট চাইলেন।খুব জরুরি।কাল তিনি ব্যাংকক যাবেন।আমি বললাম-ব্যাংকক আপনি যাবেন, আমার পাসেপোর্ট কেন? তার জবাব-পাসপোর্ট চেয়েছি, পাসপোর্ট পৌঁছাবা কথাবার্তা পরে।৭দিন পর তিনি ব্যাংকক থেকে ফেরত এলেন এবং চিলির টিকিটের জন্য টাকা পাঠাতে ঠিকানা দিলেন। আমি ‘থ।’ চিলি? কোথায় সেটা? আমিই-বা যাব কেন? আরিফ ভাইর কাছে চীনাজোঁক কিছু না। তিনি যদি কাউকে ধরেন, সে সহজে ছাড়া পায় না।আমি চিলি সম্পর্কে কিছু জানি না। শুধু জানি নোবেলজয়ী প্রেমিক ও বিপ্লবী কবি পাবলো নেরুদা চিরিতে জন্মেছেন। আমি তাকে প্রশ্ন করি-আমাকে নেরুদার বাড়ি দেখতে দেবেন?আরিফ ভাই রাজি হন। তার সাথে পঞ্চ পর্যটকের আরো তিন জন। লাভলু ভাই, এনায়েত ভাই, খোকন ভাই। তারা আমার সব আবদারে রাজি। আমি আমার ডিভি ক্যামেরা ব্যাটারি চার্জারে বসাই আর অপেক্ষা করি চিলির ফ্লাইটের। চিলি যেতে হয়েছিল আমস্টার্ডাম থেকে। সুতরাং এক সপ্তাহের জন্য আমাদের ভ্রমণক্ষণ ঠিক হল। যাওয়া এবং আসার পথে ১৪ দিন ইউরোপ, মাঝখানের ৮দিন চিলি।এ বইটা চিলিকে নিয়েই।
শাকুর মজিদ
[email protected]
৩০ জানুয়ারি ২০০৯, ঢাকা