“আকাশলীনা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
তার বাবার নাম আহসান ইমাম। মা স্বর্ণদীপা ইমাম। দাদা রুদ্র আহসান। আর সে ? সে হল আকাশলীনা। ভুল হল সৈয়দা আকাশলীনা। দাদিমার দাবিতে ইস্কুলে ভর্তির সময়েই তার নামের আগে সৈয়দা পদবীটা বসাতে হয়েছিল। মা চাননি, তাও। আসলে শৈশব থেকেই আকাশলীনা দোটানায় । বাবা থেকেও নেই। দু-দশক ধরে জেলে। তাঁর জীবনের সমাজ বদলানাের সহিংস রাজনীতির কোনও সমর্থনই ছিল না গ্রামসমাজে। হিন্দু মেয়ে স্বর্ণদীপাকে ভালবেসে বিয়ে করার ঘটনারও। একদিকে তাই দিদিমা, অন্যদিকে মা আকাশলীনার জাতধর্ম, ধর্মান্ধতার প্রতিবাদ। এহেন আকাশলীনাকে নিয়ে এই মানবতাবাদী উপন্যাস। ব্যক্তির, পরিবারের, রাজনীতির, ধর্মান্ধতার, ভালবাসার কাহিনী। এখানেও এসেছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের প্রসঙ্গ, যে-ঘটনার প্রতিক্রিয়া থেকে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ । এক কৌতূহলকর কুশলী কাহিনীতে আবুল বাশার দেখিয়েছেন, একটি মানুষের দেহের কাঠামােও কীভাবে মন্দির বা মসজিদ, মানুষই কীভাবে তাকে ভাঙে, করে ধূলিসাৎ ।