“বলাবাহুল্য” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই সমস্যার ব্লটিং পেপারগুলাে প্রতি মুহূর্তে আমাদের হাসি শুষে নেওয়ার চেষ্টা করছে। হারিয়ে যাচ্ছে নির্দোষ রসিকতা বােঝার মন। হাসতে হাসতে হালকা হওয়ার বদলে আমরা এখন গুরুভারকেই শেষ কথা বলে ধরে নিয়েছি। ফলে, হালকা হাসি, অট্টহাসি, ঠাট্টা-ইয়ার্কি এখন বেমালুম উধাও। আজকাল কেউ ভুলেও বলে না পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই’! এমন এক পরিস্থিতিতে তারাপদ রায় সাহিত্যের রম্যধারাটিকে অবলম্বন করে পাঠকের হাতে তুলে দিচ্ছেন নানা রমণীয় উপহার। এই উপহারের ডালিতে আছে উচ্চ-মৃদু-স্মিত হাস্যের নানা আয়ােজন। কাণ্ডজ্ঞান, জ্ঞানগম্যি, বিদ্যাবুদ্ধি, বুদ্ধিশুদ্ধি ইত্যাদির পর তাঁর সরস রচনার ধারায়। নবতম সংযােজন বলাবাহুল্য। নাম যাই হােক, এদের সকলের মূল সুরটি এক অনাবিল অবারিত হাসির হররা। সেখানে সবার আমন্ত্রণ। এক একটি বিষয় নিয়ে একের পর এক রম্যনিবন্ধ। দেশি, বিদেশি, চয়িত, রচিত। অথচ প্রত্যেকটি তাজা। প্রতিটি রচনাই সমান উপভােগ্য। ভারী মজলিশী ভঙ্গিতে লেখা হাজারাে বিষয়ের এই রচনাগুলি। শুরু থেকেই অদ্ভুত এক আকর্ষণের চুম্বক। পড়তে শুরু করলে থামা যাবে না। বলাই বাহুল্য, একা-একা হাসতে হলে, অন্যদের হাসাতে হলে পড়তেই হবে ‘বলাবাহুল্য।