“ভাগাভাগি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
কবির কলমে কথাকাহিনী এক অনন্য মাত্রা পায়। তাঁর ছােটগল্পগুলিতে তারাপদ রায় সেই মাত্রা যুক্ত করেছেন। ছকবন্দি কোনও ঘটনা নয়, সম্ভাব্য ও বিশ্বাস্য কাহিনীর সঙ্গে সরসতার মিশ্রণে তাঁর গল্প হয়ে ওঠে সৃজনী-সাহিত্যের সম্পদ।
আক্ষরিক অর্থেই ছােট ছােট গল্প। সংখ্যায় যােলটি। কিন্তু প্রতিটি গল্পই এক একটি পরিপূর্ণ ছবি। সীমিত ক্যানভাস অথচ সব ছবিই সীমানা ভেঙে বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে নানা রং, নানা রেখায়। গল্পগুলির কাহিনী নিশ্চয়ই বানিয়ে তােলা, কিন্তু কোথাও তা অসত্য বলে মনে হয়।
স্বচ্ছ-সহজ এবং প্রায়শই লঘুপক্ষ পরিহাসে মনােরম। আপাতগম্ভীর গল্পের মধ্যেও মানুষের জীবনযাপনের প্রসন্ন দিকটি আলােকিত হয়ে উঠেছে। তুচ্ছ, চোখে না-পড়া, অতি সাধারণ বিষয়ও ধরা পড়েছে গল্পের ফ্রেমে। কার্তিক, বিমানচন্দ্র, পটললাল, মধুবালা, সহদেববাবু, মেঘলাল, জগন্ময়, চিরঞ্জীববাবু প্রমুখ সজীব চরিত্র আমাদের চেনাজানা, অন্তরঙ্গ। এদের সঙ্গে পাঠক-পাঠিকার কোথাও-না-কোথাও দেখা হয়েছে। মনের দুভার মেঘ কাটাতে এদের জুড়ি। তাই ‘ভাগাভাগি’ নিছক গল্পগ্রন্থ নয়, এক সুরম্য উপভোেগ।