“ত্রয়ী” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
দেওয়ালগিরি, অপত্য আর খাদান—এই তিনটি নতুন স্বাদের উপন্যাসকে এক মলাটের মধ্যে এনে সৃষ্টি হয়েছে “ত্রয়ী। তিন ধরনের উপাখ্যান, কিন্তু ফন্গুর মতাে এক অন্তস্রোত বেঁধে রেখেছে প্রত্যেককে। বুদ্ধদেব গুহর কলমই পারে এই অসাধ্যসাধন করতে। প্রথম গল্প বিতানকে নিয়ে। ওড়িশার সম্বলপুরের এক গ্রামীণ হাসপাতালের ডাক্তার। এ যুগের অগ্নীশ্বর। মানুষটি যেমন, তাঁর প্রেমও তেমনই অসাধারণ। আবীরাকে নিয়ে তার জীবন কোন খাতে বয়ে গেল শেষ পর্যন্ত? এই জিজ্ঞাসার উত্তর পাঠককেই খুঁজতে হবে। বাবার বুকে তার কন্যাসন্তানের জন্য যে-ভালবাসা ও বােধ জন্ম নেয় তারই উজ্জ্বল উদ্ধার দ্বিতীয় আখ্যানের উপজীব্য। অপত্য পাঠককে এক নিষ্ঠুর সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। কী সেই সত্য? লেখক অদ্ভুত মুনশিয়ানায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের এক কয়লা-খাদানের প্রেক্ষাপটে লেখক বুনে তুলেছেন তৃতীয় কাহিনীটি। এই গল্পে, অতি রায়, অনিশ, রূপা, পাশরি প্রমুখ চরিত্ররা আছে। কিন্তু নায়ক ওই কয়লা-খাদান। এই জড় নায়ককে নিয়ে এক আশ্চর্য সজীব উপাখ্যান রচনা একমাত্র বুদ্ধদেব গুহর পক্ষেই সম্ভব। তাঁর অরণ্য-জঙ্গলের মতােই কয়াল-খাদানও কথা বলেছে এখানে।