“পুজোর সময়ে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
রানীওয়াড়া টাউনশিপ নামটি কাল্পনিক । চরিত্রগুলির নামও যে তাই—জানাতে ভােলেননি বুদ্ধদেব গুহ। কিন্তু এর বাইরে ? বিন্ধ্যাচলের অদূরের এক জনপদ এবং তার স্থায়ী ও প্রবাসী বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা, আচার-সংস্কার, উৎসব-উদ্দীপনার যে-ছবিটি সূক্ষ্ম ও আন্তরিক আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। বুদ্ধদেব গুহ, তা কিন্তু একেবারেই কাল্পনিক মনে হয় না । এই পটভূমিতে যে-দলটি পুজোর ছুটিতে সেবার বেড়াতে গেল, তারাও প্রত্যেকে যেন অতি জীবন্ত। পুজোর ছুটি মানেই বাঙালীর মনে উৎসবের এক মায়াময় আবেশ। সেই আবেশের রেশটিকেই যেন দুর্লভ কৃতিত্বে আদ্যন্ত ধরে রেখেছেন বুদ্ধদেব গুহ। কয়েকটি মাত্র দিন । তবু প্রতিটি তিথি যেন অচেনা রাগে রঞ্জিত। হাসিতে, মস্করায়, পানে, ভােজনে, গানে, শিকারে, পুজোমণ্ডপের আরতিতে, জলসায়। আর ? আর প্রেমে। একটি ছিন্ন প্রেম সম্মান পেল বাঞ্ছিত সম্মিলনে। একটি অজানা প্রেমের কুঁড়ি একটু-একটু করে মেলে দিল তার অপরূপ পাপড়ি ও মাধুরী । কীভাবে, তাই নিয়েই এই স্নিগ্ধ, মরমী উপন্যাস।