ফ্ল্যাপে লিখা কথা
পশ্চিম দিগন্তের একটুখানি আলো এসে পড়ল পুবের আকাশে। সেই নবজাগরণ ।তার আকস্মিক সম্পাতে যখন অনেকে দিগভ্রান্ত, কেউ পথচ্যুত কিংবা বিদ্রোহী, তখন প্রথম উষার সবটুকু উষ্ণতা গ্রহণ করে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি যেন সারা দেশের ঘুম ভাঙাবার ভার নিয়েছিল। নবজাগরণের সেই পর্বে নারীজাগৃতির যে আয়োজন শুরু হয়েছিল, এই বাড়ির মহিলারা সেই কাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। সামাজিক বিধিনিষেধ আর ঘেরাটোপের রহস্য ছিন্ন করে তাঁরা ঘরের সহসা ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। অন্ধকার ঘরে সহসা প্রদীপ জ্বলে ওঠার মতো তাঁদের সেই আত্নপ্রকাশ আজও অবিশ্বাস্য।
স্মৃতি-বিস্মৃতির অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ঠাকুরবাড়ির সেইসব অঙ্গনাদের গৌরবময় ভূমিকা কখনওই হারিয়ে যাওয়ার নয়। চিত্রা সেব এই গ্রন্থে ঠাকুরবাড়ির ভিতরমহলে আলো ফেলে উদ্ভাসিত করেছেন সেদিনের চমকপ্রদ ইতিহাস। ইতিমধ্যে বিপুল জনপ্রিয় এই গ্রন্থ এবার আরও পরিবর্ধিত কলেবরে, আরও চিত্র সমাহারে। ঠাকুরবাড়ির অন্তঃপুরের এমন অন্তর্মুখী কথা এর আগে আর লেখা হয়নি।