“কোথায় যাচ্ছেন তারাপদবাবু ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
অবশেষে আমাকেও আমার কথা লিখতে হচ্ছে। ‘কিন্তু তােমার কি মনে নেই কলকাতা, আমার সেই সবুজ পাঞ্জাবি, সবুজ পাশপাের্ট। সীমান্তের ট্রেন থেকে ভিজতে ভিজতে নামলাম। সেই প্রথম ট্রামগাড়ি, সেই প্রথম ফার্স্ট ক্লাস। ‘সেই আমার গ্রাম্য আচরণ, বাঙাল উচ্চারণ, পাজামার ওপরে ফুলপ্যান্ট, আজব পােশাক।…’ এমন আত্মমগ্ন উচ্চারণে তারাপদ রায় শুরু করেছেন তার আত্মকথা। এক গ্রাম্য, মফস্বলি কিশােরের কলকাতায় বড় হয়ে ওঠা, গত শতাব্দীর মধ্যভাগের সদ্য-স্বাধীন খণ্ডিত বাংলার রাজধানী কলকাতা—আর বহুদূরে সীমান্তের ওপারে এক ছােট শহর, নদী-নৌকো, রাস্তাঘাট, ছায়াচ্ছন্ন স্বপ্নময় সংসার। এরই মধ্যে কোথায় যাচ্ছে এক অনিশ্চিত কিশাের, কোথায় ? লেখকের শৈশব-কৈশাের এবং প্রথম যৌবনের কথা, জীবনের প্রথম একুশ বছরের স্মৃতিচিত্র এই বইয়ে সমুদ্রশঙ্খের মতাে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তার পরবর্তীকালের সাহিত্য-জীবন, আমলা-জীবন—তারও কিছু কিছু ছায়া পড়েছে। এই আত্মকথার অবয়বে।