“দুঃসাহসী টম সয়্যার, বাউন্টিতে বিদ্রোহ, ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক”বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
এক
টম! সাড়া নেই। ‘গেল কোথায় ছেলেটা? এইই টমম!’
সাড়া নেই। চশমাটা নাকের ডগায় টেনে বসিয়ে ওপর দিয়ে তাকালেন পলি খালা। তারপর আঙুল দিয়ে ঠেলে ওপরে তুলে নিচে দিয়ে চাইলেন। এই চশমাজোড়া তার গর্বের বস্তু, পছন্দের জিনিস। টমের মতাে নগণ্য একটা ছেলেকে খুঁজতে এতাে দামী জিনিস ব্যবহারের দরকার নেই।
কোথাও দেখা গেল না টমকে। জোরে জোরে বললেন পলি খালা, যদি ধরতে পারি তােকে…’ এ কথা শেষ না করেই ঝুল পরিষ্কারের ঝাড়টা দিয়ে খাটের তলায় খোঁচাতে শুরু করলেন তিনি। কিন্তু পাত্তা নেই টমের। খোচা খেয়ে ছিটকে বেরিয়ে এলাে শুধু বিড়ালটা।
নাহ্, ছেলেটাকে নিয়ে আর পারা গেল না!’ বিড়বিড় করতে করতে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন পলি খালা। বাইরে তাকালেন। না, বাগানেও নেই। গলা। চড়িয়ে ডাকলেন, এ-ই-ই ট-ম-ম-ম!’
* পেছনে মৃদু আওয়াজ হতেই পাই করে ঘুরলেন পলি খালা। বেরিয়ে যাচ্ছিলাে, শেষ মুহূর্তে টমের শার্টের কলার চেপে ধরে ফেললেন। এইবার ধরেছি। ওই আলমারির পেছনে কি করছিলি, হতভাগা?
কিছু না।’ | ‘কিছু না? দেখি, তাের হাত দেখি? ও-মা, মুখেও লেগে আছে দেখাে! কি | মাখিয়েছিস?’ ‘কিছু না, খালা।
আবার বলছে কিছু না। ওহহাে, বুঝেছি। জ্যাম! এই ছোঁড়া, হাজারবার না মানা করেছি জ্যাম ধরবি না? দাঁড়া, আজ তাের একদিন কি আমার! গেল কোথায়, আমার বেতটা গেল কোথায়! এ টমকে টেনেহিঁচড়ে বেতের কাছে নিয়ে গেলেন পলি খালা। তুলে নিলেন বেত। বাড়ি মারার জন্যে উঁচু করলেন
টমের সেদিকে খেয়াল নেই। পলি খালার পেছন দিকে চেয়ে বলে উঠলাে, দুঃসাহসী টম সয়্যার