এরিক ব্রাইটিজ:
সলােমনের গুপ্তধন, শী, রিটার্ন অভ শী, অ্যালান কোয়াটারমেইন। ইত্যাদি অতুলনীয় কাহিনি যার হাত দিয়ে বেরিয়েছে, সেই হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের আর একটি চমক্কার শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি এরিক ব্রাইটিজ।
দ্য প্লেগ:
ফরাসী বন্দর ওরাওঁ। ১৯৪- সাল। ১৬ এপ্রিল। ডাক্তার রিও বাসা থেকে বেরােতে গিয়ে সিঁড়িতে একটা মরা ইঁদুর দেখতে পেল। এই হলাে শুরু। একজন-দুজন করে মরতে শুরু করল মানুষ। আতঙ্কে কুঁকড়ে গেল। শহরবাসী। কর্তৃপক্ষ একে প্লেগ বলে স্বীকার করল না। বাড়তে লাগল। সংক্রমণ, দলে দলে মরতে লাগল মানুষ। এমনি সময়ে বন্ধ হয়ে গেল । শহরের সবগুলাে ফটক। তারপর?
আমি গুপ্তচর:
উনিশশাে চোদ্দ সালের দোসরা আগস্ট। বেলজিয়াম আক্রমণ করল জার্মানরা, দখল করে নিল পুরাে দেশটা। মিষ্টি মেয়ে মার্থা নােকার্ট। ঘরছাড়া হলাে পরিবারের সবার সাথে। কাজ নিল সে হাসপাতালে, নার্সের। একদিন চুপিচুপি এল পারিবারিক বন্ধু লাসেল। বুকের মধ্যে। কাঁপন ধরিয়ে দিল ওর কথাগুলাে: ‘মার্থা, তুমি তাে বুদ্ধিমতী মেয়ে। দেশের জন্যে কিছুই কি করার নেই তােমার?’ বদলে গেল মার্থা নােকার্ট। শুরু হলাে ওর স্পাই-জীবন। গল্পের চেয়েও শ্বাসরুদ্ধকর সত্য ঘটনা।