“অন্তর্ঘাত” বইয়ের ফ্লাপের লেখা:
দু্ই সময়কে দু-প্রান্তে ছুঁয়ে আছে এই ঘাতপ্রতিঘাতময় উপন্যাস। ভিন্নভাবে বলতে গেলে, এক দুরন্ত সময়ের গর্ভে উপ্ত বীজ দীর্ঘকাল বাদে কী চেহারায় দেখা দিতে পারে, তারই আভাস ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন বাণী বসু। সে-আভাস এমন-এক কাহিনীর মধ্য দিয়ে যা নিষ্ঠুর হয়েও বাস্তব, বিশেষ হয়েও বিশ্বাস্য। এ-উপন্যাসের সূচনা সত্তর দশকের সেই উত্তাল দিনগুলিতে, যখন বজ্রগর্ভ বিপ্লবের নেশায় মেতে উঠেছিল একদল তাজা তরুণ প্রাণ । ধ্বংসের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল কলেজ-য়ুনিভার্সিটির চত্বরে-চত্বরে। প্রতিবাদ হয়ে উঠেছিল ভাঙচুর, আন্দোলন, হত্যা, পুলিশী ব্যবস্থা এক প্রতিহিংসাপ্রবণ নিমর্মতা। সেই অগ্নিকালেরই কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস, দীর্ঘ চোদ্দ-পনের বছর বাদে যারা নতুন করে জড়িয়ে পড়ল এক দুর্ঘটনার বৃত্তে এই দুর্ঘটনা কি আকস্মিক, নাকি অন্তর্ঘাত ? নাকি অতীত-ভুলের প্রায়শ্চিত্ত ? অন্যস্বাদ এক কাহিনীতে এরই উত্তর অনবদ্য বিশ্লেষণে তুলে ধরেছেন বাণী বসু।