“অমৃতা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
অমৃতা ও তার বন্ধুরা। ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, পুরনাে রীতি আর নতুন প্রয়ােজনের মাঝখানে প্রাণপণে ধরে আছে হাত। সেই কেউ গতানুগতিকের থেকে ছিটকে গেছে ভিন্ন বৃত্তির টানে। কেউ চাকরি করছে, কেউ চাকরি খুঁজছে, কেউ ভাবছে খুঁজবে। কারও বিয়ে হয়েছে, কেউ বিয়ে করছে, কেউ বিয়ে করবে। এক সময়ের সৌদামিনী-মৃণালিনী বা তার পরেকার নমিতা রমলাদের থেকে কি আলাদা ওদের জীবন? যদি বা আলাদা হয়, আলাদা কীসে? এ স্বাতন্ত্র কি প্রকরণের, না পরিস্থিতির, না চরিত্রের? কোথায় এর আধুনিকতা? সবটাই কি আদৌ আধুনিক? উত্তর আধুনিক? না যুগ-যুগান্তের সামান্য সূত্রও কিছু আছে তাতে? অমৃতা আর ওর বন্ধুরা কি আগের থেকে বিপন্ন? কেউ কেউ তুলাের বাক্সে আঙুরের মতাে নিরাপদ, কেউ কেউ দৃঢ়চেতা আবার কারও কারও স্বাবলম্বন নেতৃত্বই নিরুপায়ের। তবু যখন ঝড় আসে, ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় কাঁপিয়ে দিয়ে যায় পায়ের তলার মাটি তখন আত্মসচেতনতা ও সমর্পণের কী অনুপাত ব্যবহৃত হয় তাদের জীবনে? মননে? চারিত্রে? জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে জীবনগ্রন্থি। এই দুর্বোধ্য জটিলতার মােকাবিলা কীভাবে করে ওরা?