“উত্তরসাধক” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাবার দেশ মীরাট, মায়ের বাংলা অশােক ভাটনগর ও লীলা। দত্তগুপ্তের তৃতীয় সন্তান মেধাশ্রী । নাম থেকে শ্রীটুকু ছেটে দিয়েছিলেন মেধা ভাটনগর। শ্রীহীন হবার ইচ্ছেয় নয়, শ্রী শব্দটির সঙ্গে যে-হতাশা, অত্যাচার, অবিচার এবং আত্মতুষ্টির অনুষঙ্গ দীর্ঘকাল ধরে মিশে আছে, তার প্রতি সুতীব্র অনীহায়। বাবার কর্মক্ষেত্র কলকাতার শিকড় ছিড়তে পারেননি মেধা। ইতিহাসের অধ্যাপনাকে জীবিকা করে থেকে গেলেন। যদিও পাঁচ বছর করে দু-দফায় দশটা বছর কাটিয়ে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আশ্চর্য মেধার ব্যক্তিজীবন বিবাহিত হয়েও কুমারী। মেধা ভাটনগরের সেই আশ্চর্য জীবনের পূর্ব-ইতিহাস এবং ছাত্রদের দিয়ে ইতিহাস তৈরি করার চলমান জীবন নিয়েই বাণী বসুর এই সমাজসচেতন ও সম্পন্ন উপন্যাস। অনেকগুলি পরিবারের বর্ণাঢ্য চালচিত্রে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সম্পর্কের অন্তরঙ্গ ছবি, সমকালীন ছাত্রজীবন, অনন্য প্রেরণাময় এক আদর্শ ছাত্রসংঘ এবং আদর্শের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাতের যে-বিশাল কাহিনী বুনেছেন তিনি, তা আদ্যন্ত সমান কৌতূহলকর। সমকালীন হয়েও চিরকালীন।