“ঝাড়ফুঁক” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
তার ভঙ্গি বরাবরই লঘু, কিন্তু বিষয় কখনাে নয়। হাসতে-হাসতে . হালকা চালে যে-সব কথা নিতান্ত। সহজে উচ্চারণ করেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, তাঁর প্রতিটি গল্প-উপন্যাস। বা রম্যরচনায়, গুরুত্বের দিক থেকে তার মূল্য অপরিসীম। সেই রচনাদি পাঠ করে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় আমরা হেসে উঠি ঠিকই, কিন্তু ক্রমশ টের পেতে থাকি যে, এ প্রায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হেসে ওঠা। আমাদেরই জীবন ও আচার-আচরণের, চারপাশের মানুষজন, সমাজ, ও ঘুণ-ধরা পরিবেশের মধ্য থেকেই সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় তুলে নিয়েছেন কৌতুকময় নানান উপাদান। ‘ঝাড়ফুঁক’ উপন্যাসটিও এর ব্যতিক্রম নয়। যে-সমাজে রবীন্দ্রনাথ শুধু বাঙালীর কণ্ঠে স্থান পান, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বন্দী হয়ে থাকেন নেতাজী-ভবনের প্রত্নশালায়, সেই সমাজেরই নানান ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অসঙ্গতি ও অবক্ষয়ের চেহারাটা এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এক যুবকের আশ্চর্য কৌতুহলকর জীবনকাহিনীর মধ্য দিয়ে। এ-উপন্যাস তাই যতটা হাসায়, তার ঢের বেশি ভাবায়।