জান কি তােমরা এসেছ কোথা থেকে? জান কি তােমাদের উৎস আর মহাবিশ্বের উৎস এক? কীভাবে সৃষ্টি হল মহাবিশ্ব, তার সমস্ত গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ নিয়ে? সৃষ্টির আগে কোথাও কি ছিল এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ব্লু-প্রিন্ট? কত বড় এই মহাবিশ্ব? কবে তার জন্ম? ঠিক কেমন দেখতে ছিল তাকে একেবারে ছােট্টবেলায়? তারারা কি মানুষেরই মতাে জন্মায়, মরে? জন্মমৃত্যুর মধ্য দিয়ে মহাবিশ্ব কি চলেছে ধ্বংসের পথে? না কি, উত্তরণের পথে? মহাবিশ্বের জন্মরহস্য ভেদ করতে গেলে প্রমাণ পাবে কোথায়? ড. মণি ভৌমিক বিশ্বজীবনী লিখতে গিয়ে। লিখেছেন কিশাের-কিশােরীদের জন্য একটি অসামান্য ডিটেকটিভ গল্প, যার ডিটেকটিভ কিশাের-কিশােরীরাই। উনি শুধু তাদের সঙ্গে আছেন সহকারী হিসেবে, যেমন ফেলুদার সঙ্গে তােপসে। বাংলায় এমন বই লেখা হয়নি আগে। ২০০৬-এর ফিজিক্স-নােবেল প্রাইজ পেয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যারা এই মহাবিশ্বে জানতে চাও নিজেদের স্থান কিংবা ভবিষ্যতে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চাও, তাদের জন্য এই বই অবশ্যপাঠ্য। এই বই পড়তে পড়তে পাবে ডিটেকটিভ বই পড়ার আনন্দ ও ডিটেকটিভ হওয়ার উত্তেজনা। এর পাতায়-পাতায় পাবে মহাবিশ্বে নিজেদের স্থান খুঁজে পাওয়ার অ্যাডভেঞ্চার! ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল এই মহাবিশ্ব। এ বই তােমাদের নিয়ে যাবে বিশ্বসৃষ্টির জন্মলগ্নে। আমরা আমাদের অস্তিত্বের শিকড় সেই পরম লগ্ন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি।