ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
সালটা ১৯২৮, বৃহৎ জার্মান শহরের সীমান্ত অঞ্চলে তিন যুবক সামান্য আয় দিয়ে অনিশ্চিত জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে অস্ত্রসহ অশ্বারোহী সৈনিক রাস্তায় উচ্চকন্ঠে ধাবমান। অস্থিরতা, দারিদ্রতা, এবং উৎপীড়ন পুরো দেশজুড়ে। শুধু বন্ধুত্ব, এই তিন যুবককে সবকিছু থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। তিনজনের মাঝে সবচেয়ে ছোটজন ভালোবাসলো এক মহিলাকে। মহিলাটি ছিল ঐ যুবকের চেয়ে বয়সে বড়। কঠিন এই জীবনের মাঝে আধ্ম্যাতিক ত্যাগ এই তিন বন্ধু ও মহিলাকে এক সুতোয় বেঁধেছে। সবকিছু পেয়েছে তারা, যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি…
ভূমিকা
এরিখ মারিয়া রিমার্কের বিখ্যাত উপন্যাস, থ্রি কমরেডস বইটি যারা আগে পড়েছেন তারা জানেন কেমন শিহরন জাগানো এই বইটি। মনের ভেতর থেকে এক অন্যরকম আবেগের জন্ম দিতে পারতেন তিনি। এই উপন্যাসটিও তার ব্যতিক্রম না। বাংলা ভাষায় এই বইটি খুব কমই অনুবাদ করা হয়েছে। যেগুলো আগে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছিলো, সেগুলোর মাঝে বেশিরভাগই বেশ আগোছালো এবং সুখপাঠ্য নয়।
আদী প্রকাশন এর সাজিদ ভাই বইটিকে পাঠকদের কাছে সুন্দর সহজবোধ্যভাবে উপহার দিতে চাইলেন। জাবেদ সুলতান ভাই বইটির অনুবাদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিলেন। লেখালেখিতে তেমন ঝোক নেই। শখের বশে আর বন্ধুদের অনুরোধে বইটিতে তার কাজ করা। এত সুন্দর একটি উপন্যাস আর অনেকেই কিনা এই উপন্যাসটি থেকে বঞ্চিত হবেন, তাই হয় কি করে? যারা বইটি আগে পড়েননি, তারা এমন অসাধারণ একটি উপন্যাসকে নিজ ভাষায় পড়বার জন্য নিজের সংগ্রহে রাখতে ভুল করবেন না।
এরিক মারিয়া রিমার্ক জন্ম:২২ জুন ১৮৯৮ জার্মানীর ওশানাবার্গ শহরে,মৃত্যু:২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ লোকারনো।
এরিক মারিয়া রিমার্ক জার্মানীর ওশানাবার্গ শহরে ১৮৯৮ সালে জন্ম হয়। প্রখর বৃদ্ধি সম্পন্ন এই পুরুষ ‘১৯১৬ সালে জার্মান আর্মি থেকে ডাক পান এবং যোগদান করেন। এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাহত সেনা হিসেবে আর্মি থেকে বাদ পড়েন। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর রিমার্ক ১৯২৯ সালে পুরোদস্তর শিক্ষক বনে যান । All quiet on the Western Front যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তার প্রথম উপন্যাৎস। রিমার্কসের বই হিটলারের রোশানালে পরে, যার কারনে দেশ ত্যাগ করে ১৯৩১ সালে সুইজারল্যান্ডে পারি জমান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
জাবেদ সুলতান
ইংরেজী সাহিত্যে এম,এ। লেখালেখিতে খুব একটা ঝোক না থাকলেও অনেকটা বন্ধদের অনুরোধে তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। তবে পড়তে খুব ভালোবাসেন। ভালোবাসেন নাটক দেখতে প্রচুর আড্ডা প্রিয় লোক। তার এই প্রথম প্রয়াস পাঠকদের মনে স্থান পাবে এটা তার বিশ্বাস।