হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার

৳ 300.00

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
হৃৎপিন্ড মূলত একটি শক্তিশালী পাম্প। এর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত গ্রহণ করে ফুসফুসে মাধ্যমে রক্তকে অক্সিজেন যুক্ত করে আবার বিভিন্ন কোসে পৌঁছে দেয়া।
মাতৃগর্ভে ভ্রুন অবস্থায় হৃৎপিন্ড তার কাজ শুরু করে । একজন ৭০ বছর বয়সের মানুষের হৃৎডিন্ড প্রায় ৩,০০,০০০,০০০ বার ধুক ধুক করে । এবং এই সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড প্রায় ৩০০,০০০ টন রক্তের মোকাবিল করে।
মাতৃগর্ভে এই কাজ শুরু হয়ে আমৃত্যু অবিরাম একইভাবে চলে।এ সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড বিশ্রাম কেবল সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের সময় যা প্রায় আধ সেকেন্ড।
ডান অলিন্দের প্রাচীরে অবস্থিত সাইনো অরিকুলার নোড থেকে ঋণাত্নক তড়িৎ তরঙ্গ অলিন্দের প্রাচীরে প্রবাহিত হয়। এই তড়িৎ তরঙ্গ নিয়মিত ভাবে এক নিদির্ষ্ট মাত্রায় হৃৎপিন্ডি অলিন্দ ও নিলয় দুটিকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে।
হৃৎপিন্ডের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমানে রক্ত প্রবাহিত হলেও তা থেকে হৃৎপিন্ড তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। পুষ্টির জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় করোনারি ধমনীর ওপর ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থাও আয়ত্তে এসেছে। এসব নিয়েই লেখা হয়েছে এই বইটি। আশা করি বইটি জনসাধারণের উপকারে আসবে।
ভূমিকা
হৃৎপিন্ড মূলত একটি শক্তিশালী পাম্প। এর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত গ্রহণ করে ফুসফুসে মাধ্যমে রক্তকে অক্সিজেন যুক্ত করে আবার বিভিন্ন কোসে পৌঁছে দেয়া।
হৃৎপিন্ডের মাপ মানুষের বদ্ধ মুষ্টির মতো। লম্বায় প্রায় ১৫ সেমি. ,চওড়ায় ১০ সেমি। ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম।
হৃৎপিন্ডের চারটি প্রকোষ্ট আছে। ডান ও বাম অলিন্দ এবং ডান ও বাম নিলয় উর্ধ্ব ও নিম্ন মহাশিরার মাধ্যমে ডান অলিন্দ শরীরের বিভিন্ন টিস্যু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত গ্রহণ করে ডান নিলয় এবং পালমনারি ধমনী হয়ে ফুসফুসে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে রক্তের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শরীরের বাইরে চলে যায় এবং অক্সিজের রক্তের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। এই অক্সিজেন যুক্ত রক্ত পালমনারি শিরার মাধ্যমে বাম অলিন্দ হয়ে বাম নিলয়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে মহাধমনী হয়ে শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে পৌঁছে।
প্রকৃত পক্ষে হৃৎপিন্ড দৃটি পাম্পের কাজ করে । একটি ছোট পাম্প ডান নিলয় খেকে রক্ত ফুসফুস পর্যন্ত পাঠিয়ে দেয় এবং একটি বড় পাম্প বাম নিলয় থেকে রক্ত ফুসফুস পর্যন্ত পাঠিয়ে দেয় এবং একটি বড় পাম্প নিলয় থেকে মহাধমনীর মাধ্যমে রক্ত শরীরের নানা অঙ্গে পাঠিয়ে দেয়।
আন্তঃঅলিন্দ এবং আন্তঃনিলয় পর্দা যথাক্রমে দুটি অলিন্দ ও নিলয়কে পৃথক করে। মানুষের শরীরে প্রায় পাঁচ লিটার রক্ত থাকে। প্রতিদিন মানুষের হৃৎপিন্ড প্রায় ৯০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রক্ত বাহী নালী দিয়ে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এই পরিমান রক্ত একটি ১৫,০০০ লিটার ক্ষমতাযুক্ত আধার পূর্ন করতে পারে।
মাতৃগর্ভে ভ্রূণ অবস্থায় হৃৎপিন্ড তার কাজ শুরু করে।একজন ৭০ বছর বয়সের মানুষের প্রায় ৩,০০,০০০,০০০ বার ধুক ধুক করে । এবং এই সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড প্রায় ৩০০,০০০ টন রক্তের মোকাবিল করে।
হৃৎপিন্ড ধমনীতে রক্ত বের করে দেয়ার সময় নিলয় দুটি সংকুচিত হয়। এবং ঠিক এ সময় অলিন্দ দুটি প্রসারিত হয়ে শিরা থেকে রক্ত গ্রহণ করে। আবার অলিন্দ দুটি যখন সংকোচন হয় তখন নিলয় দুটি প্রসারিত হয়ে অলিন্দ থেকে রক্ত গ্রহণ করে। এই সংকোচন ও প্রসারণ কালকে বলাহয় যথাক্রমে সিস্টল ও ডায়াস্টল। হৃৎপিণ্ডের প্রতিনিয়ত সংকোচন ও প্রসারণকে হৃৎস্পন্দন বলা হয়। একজন মধ্যবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রতি মিনিটে প্রায় ৭০ বার।
মাতৃগর্ভে এই কাজ শুরু হয়ে আমৃত্যু অবিরাম একইভাবে চলে।এ সময়ের মধ্যে হৃৎপিন্ড বিশ্রাম কেবল সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের সময় যা প্রায় আধ সেকেন্ড।
ডান অলিন্দের প্রাচীরে অবস্থিত সাইনো অরিকুলার নোড থেকে ঋণাত্নক তড়িৎ তরঙ্গ অলিন্দের প্রাচীরে প্রবাহিত হয়। এই তড়িৎ তরঙ্গ নিয়মিত ভাবে এক নিদির্ষ্ট মাত্রায় হৃৎপিন্ডি অলিন্দ ও নিলয় দুটিকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে।
হৃৎপিন্ডের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমানে রক্ত প্রবাহিত হলেও তা থেকে হৃৎপিন্ড তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। পুষ্টির জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় করোনারি ধমনীর ওপর ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থাও আয়ত্তে এসেছে। এসব নিয়েই লেখা হয়েছে এই বইটি। আশা করি বইটি জনসাধারণের উপকারে আসবে।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতার
৫৩/১, জনসন রোড ,ঢাকা
ই-মেইল: [email protected]/* <![CDATA[ */!function(t,e,r,n,c,a,p){try{t=document.currentScript||function(){for(t=document.getElementsByTagName('script'),e=t.length;e–;)if(t[e].getAttribute('data-cfhash'))return t[e]}();if(t

Title হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার
Author
Publisher
Number of Pages 144
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা


<!–//<![CDATA[
var ox_u = 'https://revive.rokomari.io/www/delivery/al.php?zoneid=7&layerstyle=geocities&align=right&padding=2&closetext=%5BClose%5D';
if (document.context) ox_u += '&context=' + escape(document.context);
if (location.href) ox_u += '&pagePath=' + escape(location.href + '&categoryId=18&categoryId=623'+ '&authorId=65&publisherId=24');
document.write("”);
//]]>–>

Sponsored Products Related To This Item

Customers Also Bought

Similar Category Best Selling Books

<a href="/book/59102/sishur-sastoo-somsha-o-somadan?ref=rncl_21" title="শিশুর স্বাস্থ্য : সমস্যা ও সমাধান লে. কর্নেল ডা. নাজমা বেগম নাজু" onclick="gtag('event','product_view_details

জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । এমবিবিএস পাশ করেছেন শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ, বরিশাল থেকে । পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছেন অর্থোপেডিক সার্জারিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা থেকে। লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়ে হলেও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অবাধ বিচরণ। সায়েন্স ফিকশন ও ভৌতিক গল্প লিখেছেন প্রচুর। অনুবাদেও সমান দক্ষ । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য নিয়েও কাজ করেছেন অনেক স্বাস্থ্যু বিষয়ক লেখালেখিকে তিনি সাহিত্যের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । তিনি শেরই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রসংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন । একই সাথে ছিলেন উক্ত মেডিক্যাল কলেজ শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর নির্বাচিত কেন্দ্রীয় প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ হেলথ রাইটার্স ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব।
প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্নপুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলা ভাষায় প্রথম দীর্ঘ সায়েন্স ফিকশন কবিতা লেখেন তিনি। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন আনোয়ারা-নূর পুরস্কার । চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ফ্রিলেন্স জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক এফজেএ অ্যাওয়ার্ড অব ফ্রিডম ২০১২ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাকে মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক ২০১২ এবং মে দিবস সম্মাননা ২০১৩ প্রদান করা হয়। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন এবং উন্মাদ পত্রিকার পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থেপেডিক ও ট্রামাটােলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ