ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
একুশ আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার। একুশ মানে মাথা নত না করা।একুশ মানে আমাদের জীবন।আমাদের সারা জীবনেই একুশে ফেব্রুয়ারির ডাক ধ্বনিত-প্রতিধ্বনি। একুশ আমাদের আনন্দে উল্লাসে উচ্চারিত, বিজয়ের গৌরবে উদ্দীপ্ত। বায়ন্নর একুশের পর প্রতিটি একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল আমাদের চলার পথের ধ্রুবতারা, মাঙ্গলিক শক্তির উৎস। একুশের আদর্শকে বুকে ধারণ করেই আমরা সম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়েছি-লড়েছি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং আজও লড়ছি।আমাদের সংগ্রামের ইতিহাসে একুশের গুরুত্ব অপরিসীম।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করার পর বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।সারা পৃথিবীতে উচ্ছারিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের নাম।উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের মহান সংগ্রামের কথা।একুশকে ধারণ করে মাতৃভাষাকে ভালোবাসার প্রেরণা পাচ্ছে সারা পৃথিবীর মানুষ। বাঙালি জাতি নিজের রক্ত দিয়ে বিশ্ববাসীকে শিখিয়ে দিয়েছে মাতৃভাষাকে ভালোবাসার মহান মন্ত্র।শত দুর্যোগ অনটনের মধ্যেও দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের জন্য গর্বিত হতে হবে- এটাই একুশের মহান শিক্ষা।
একুশ তথা ভাষা আন্দোলনের উপর লেখা প্রায় দেড়শত ছড়া-কবিতা নিয়ে সঙ্কলিত হলো ‘একুশের ছড়া-কবিতা’ গ্রন্থটি। এই গ্রন্থটিতে প্রবীণ কবিদের পাশাপাশি অনেক প্রতিভাধর তরুণ কবির লেখাও স্থান পেয়েছে। গ্রন্থটি আবৃত্তি উপযোগী এবং একুশের সেরা কাব্যগ্রন্থ।