“ফাযায়েলে আমাল (সাদা লেমি)”বইটির ভূমিকা:
হামদ ও সালাতের পর। মুজাদ্দেদীনে ইসলাম ও যমানার ওলামা-মাশায়েখের উজ্জ্বল রত্ন (হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস (রহঃ) আমাকে তবলীগে দ্বীনের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু আয়াত ও হাদীস লিখিয়া পেশ করিতে আদেশ করেন। এইরূপ বুযুর্গগণের সন্তুষ্টি হাসিল করা আমার মত গােনাহগারের জন্য গােনাহ মাফী ও নাজাতের ওসীলা—এই আশায় দ্রুত রচনা করতঃ এই উপকারী কিতাবখানি খেদমতে পেশ করিতেছি। সেইসঙ্গে প্রত্যেক দ্বীনি মাদরাসা, দ্বীনি আঞ্জুমান, ইসলামী আদর্শে পরিচালিত স্কুল, প্রতিটি ইসলামী শক্তি বরং প্রত্যেক মুসলমানের নিকট আরজ করিতেছি যে, বর্তমানে দ্বীনের অবনতি যেভাবে দিন দিন বাড়িতেছে, বিধর্মীদের পক্ষ হইতে নয় স্বয়ং মুসলমানদের পক্ষ হইতে দ্বীনের উপর যেভাবে হামলা হইতেছে, ফরজ ও ওয়াজিবসমূহের উপর আমল সাধারণ মুসলমানদের হইতে নয় বরং খাছ লােকদের এমনকি যাহারা আরও বিশিষ্ট তাহাদেরও ছুটিয়া যাইতেছে। নামায-রােযা ত্যাগ করার বিষয় কি বলিব যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রকাশ্য কুফর ও শিরকে লিপ্ত রহিয়াছে। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হইল যে, তাহারা ইহাকে শিরক ও কুফর বলিয়া মনে করে না। যাবতীয় হারাম, নাফরমানী ও অশ্লীলতার প্রচলন যেরূপ প্রকাশ্যে ও স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে এবং দ্বীনের প্রতি বে-পরওয়া ভাব, বরং অবজ্ঞা ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ যে পরিমাণ ব্যাপক হইতেছে তাহা কোন ব্যক্তির নিকট এখন আর অস্পষ্ট নয়। এইসব কারণেই বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম বরং সাধারণ আলেমগণের মধ্যেও লােকদের হইতে বিচ্ছিন্নতা ও দূরত্ব বৃদ্ধি পাইতেছে। যাহার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি এই দাড়াইতেছে যে, দ্বীন এবং দ্বীনি বিষয়াবলী হইতে বিচ্ছিন্নতা দিন দিন আরও বাড়িতেছে। জনসাধারণ এই বলিয়া নিজেদেরকে অক্ষম মনে করিতেছে যে, তাহাদেরকে বুঝানাের কেহ নাই,