ভূমিকা
বাছিত বিন হাফিজ-এর ‘ধর্মগ্রন্থ মানজাতি ও বিজ্ঞান’ শীর্ষক গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি আমি পড়েছি।আমার কাছে গ্রন্থটি বেশ শ্রমলদ্ধ মনে হয়েছে।গ্রন্থকার তাঁর এ গ্রন্থে নানা গ্রন্থ ঘেটে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের অসারতা, মৌলিকতা এবং বিশুদ্ধতা প্রমাণ করার প্রয়াস পেয়েছেন। একই সাথে তিনি হিন্দু ধর্মের আদি গ্রন্থ বেদকে আসমানী গ্রন্থ এবং হিন্দু ধর্মের আদি অবতার ঋষি মুনিকে নূহ (আঃ) হিসেবে প্রমাণ করার প্রয়াসও পেয়েছেন।তবে তিনি তাঁর র্ধমের তার গবেষণায় এও উল্লেখ করেছেন যে, যদিও আদিতে বেদ ছিল আসমানী গ্রন্থ তবে হিন্দু ধর্মের পুরোহিত বা ভ্রাহ্মণগণ এটির বিকৃতি ঘটাতে ঘটাতে এর আর মৌলিকতা এবং বিশুদ্ধতার কিছুই অবশিষ্ট্য নেই।গ্রন্থকার আরও উল্লেখ করেছেন, আদি বেদ গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। যদি এটি আসমানী গ্রন্থ নাই হতো তবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে ভবিষ্যতদ্বাণী কী করে সম্ভব হলো?সাম্প্রতিক কালের অনেকের গবেষণায়ই এ বিষয়টি যেমন আলোচনায় এসেছে তেমনি এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত এবং যুক্তি-পাল্টা যুক্তিও রয়েছে এবং এ বিষয়ে নানা ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যায়।আমার আশংকা এ গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে সেই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় আরও একটি মাত্রা যোগ হবে।হিন্দ ধর্ম আদিতে আসলেই আসমানী ধর্ম ছিল কি-না, বেদ মূলতই অন্যান্য আসমানী গ্রন্থের মতো কোন আসমানী গ্রন্থ কি-না, ঋষি মুনিই হযরত নূহ(আঃ) কি-না তা যেমন খুব দৃঢ় ভাষায় বলা যায় না, তেমনি এই তত্ত্বকে একেবারে তুড়ি মেরে উড়িয়েও দেওয়া যায় না।এ বিষয়ে আরও ব্যাপক গবেষণার দাবি রাখে এবং আরও সময় অপেক্ষা করতে হবে।একমাত্র ব্যাপক গবেষণা এবং সময়ের অপেক্ষাই পারে মূল সত্য উদঘাটন করতে।অপরদিকে খ্রিষ্ট র্ধমীয় গ্রন্থ নামে যে বাইবেল প্রচলিত রয়েছে সেটি যে মূল বাইবেল বা ইঞ্জিন শরীফ নয়, সে মন্তব্য সপ্রমাণ উপস্থিত করার পাশাপাশি গ্রন্থকার এও প্রমাণ করার প্রয়াস পেয়েছেন যে, বারনাবাসের ইঞ্জিনই ছিল মূল ইঞ্জিন শরীফ, যেটি মূলত খ্রিষ্ট ধর্মযাজকদের বাইবেল বলে স্বীকৃতি তো দেয়ই নি বরং এটিকে ভূয়া, বানোয়াট বলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই ইঞ্জিলেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।