বই পরিচিতি:
মহাবিশ্ব ধ্বংসের প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলেছেন এক বিজ্ঞানী। তাই তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে বিদেশি কমান্ডো দলের সদস্যরা। আটকে রেখেছে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপে। সেই বিজ্ঞানীকে বাঁচানোর জন্য ও মহাপ্রলয়ের হাত থেকে বিশ্বজগতকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী দিদার, বুয়েটের ছাত্র তূর্য আর অন্য জগৎ থেকে আসা আরেক বিজ্ঞানী তাদের অভিযান শুরু করল। তারা কি পারবে মহাপ্রলয় (যার নাম হিগস প্রলয়) ঠেকাতে এবং সেই আবিষ্কারককে বাঁচাতে?
লেখক পরিচিতি:
বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার জন্যই হোক কিংবা অন্য যেকোনো কারণেই হোক, বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লিখতে আসিফ মেহ্দী একটু বেশিই ভালোবাসেন। রম্য সংকলন ‘বেতাল রম্য’ দিয়ে সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ করলেও বিজ্ঞান কল্পকাহিনি প্রকাশ করতে খুব বেশি দেরি করেননি। তাঁর প্রকাশিত দ্বিতীয় বই ও প্রথম সায়েন্স ফিকশন ‘ফ্রিয়ন’-এর আশাতীত সাফল্যের ধারাবাহিকতায়ই এবার প্রকাশিত হলো ‘হিগস প্রলয়’ বইটি। এর আগে তাঁর লেখা খুদে কবিতার বই ‘ন্যানো কাব্য’ও বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। লেখক আসিফ মেহ্দীর সাথে পাঠকের পরিচয় অবশ্য অনেক আগে থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ আর ‘রস আলো’তে নিয়মিত লেখার কারণেই এই পরিচিতি। এছাড়া প্রকাশিত বইগুলোর আশাতীত সাফল্যের ফলে তরুণ পাঠকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তাঁর।
লেখালেখি করতেন ছোটবেলা থেকেই। ছাত্রাবস্থাতেই সম্পাদনা করেছেন এক ডজন পত্রিকা। বুয়েট থেকে পাশ করার পর কাজ করছেন দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর ‘গ্রামীণফোন’-এ। আর সেইসাথে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখি। একে একে সাহিত্যের সব শাখাতেই প্রতিভার নিদর্শন রাখছেন ১৯৮৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া তরুণ এই লেখক। আসিফ মেহ্দীর প্রকাশিত-অপ্রকাশিত, নতুন-পুরোনো লেখাগুলো নিয়মিত পড়তে পারেন তাঁর পেজ ‘একটু হাসুন’ (https://www.facebook.com/Ektu.Hashun) থেকে। [লেখক পরিচিতিটি লিখে দিয়েছেন রস আলো’র আইডিয়াবাজ পাভেল মহিতুল আলম।]
ভূমিকা (লেখকের কথা):
শুনেছি, কোনো বিষয়ে মানুষের অভিজ্ঞতা যত বাড়ে, সেটি তার জন্য তত সহজ হয়ে যায়। কিন্তু আমি আমার জীবনের ক্ষেত্রে এই হিসাব কিছুতেই মেলাতে পারছি না। বয়স যত বাড়ছে, যত অভিজ্ঞ হচ্ছি; জীবনের পথচলা যেন আমার জন্য তত কঠিন হয়ে উঠছে! তাই বাস্তবতার চেয়ে কল্পনা আমাকে বেশি টানে। কল্পনার পেছনে ছুটে ক্লান্ত হই না কখনো। সেই ছুটে চলায় তৈরি হয় কল্পকাহিনি। তেমনি এক কল্পকাহিনি আমার ভক্ত পাঠকদের উপহার দিতে পেরে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে। আপনাদের নিরন্তর ভালোবাসা আমাকে চক্রবৃদ্ধিহারে ঋণী করে তুলছে। এই বই আপনাদের মনের এতটুকু খোরাক যোগালেও তা আমার চলার পথে আরও গতি সঞ্চার করবে।
আসিফ মেহ্দী
শ্যামলী, ঢাকা।
১৫.০১.২০১৩
বইটির উৎসর্গপত্র
যখনই তাঁর লেখা কবিতা পড়ি, মনে হয় আমার বাস্তব জগৎ আর কল্পনার জগতের মাঝে একটি অর্ধভেদ্য পর্দা নেমে এসেছে; কল্পজগতের অণুগুলো যেন সেই পর্দা ভেদ করে অসমোসিস প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে ভিড়ছে বাস্তবজগতের আণবিক ভুবনে! একসময় আমার চেতনা হয়ে পড়ে মোহাচ্ছন্ন। সেই ঐন্দ্রজালিক আবহে অবগাহন করতে ভালোবাসি খুব।
প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ।