“ফ্রানৎস কাফকা : এক অনশন শিল্পী” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
‘যদি কোনাে একজন লেখকের নাম করতে হয় যিনি আমাদের সময়ের সঙ্গে বহন করেন সেই সম্পর্ক যেমনটি দান্তে, শেক্সপিয়ার ও গ্যেয়টের ছিল তাদেরগুলাের সঙ্গে, তাহলে সবার আগে মাথায় আসবে কাফকার নাম।
– ডব্লিউ. এইচ. অডেন।
কাফকার জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ বই এক অনশন-শিল্পী উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করছে তার শেষ সময়ের প্রগাঢ় দার্শনিক চিন্তার: কঠোর তপশ্চর্যা, আধ্যাত্মিকতার দারিদ্র্য, জাতীয় ঐক্যের ধারণা, আধুনিককালের শিল্পীদের বিচ্ছিন্নতাবােধ কীভাবে নেমে যেতে পারে মনােবিকলনের গহ্বরে – এইসব।
কাফকার অন্যতম প্রধান লেখার মর্যাদা পেয়েছে তার পরিণত বয়সে লেখা এই চার গল্প। এখানে এক ট্রাপিজ-শিল্পী বছরের পর বছর বসে থাকে তাঁবুর মাথায়, তার প্রিয় ট্র্যাপিজে; এক ক্ষুধা-শিল্পী, না-খেয়ে থাকাই তার শিল্প, অনশনের বিশ্বরেকর্ড করতে করতে শহীদ হয়ে যায়; এক গায়িকা ইঁদুর (আসলে গান গাইতে পারে না, স্রেফ কিচমিচ্ করে!) তার জাতির ঐক্য ধরে রাখার একমাত্র আশা-ভরসা; আর আছে ছােটখাটো এক মহিলা, যার সঙ্গে গল্পের নায়কের একমাত্র যােগসূত্রই তাদের পারস্পরিক ঘৃণা। আশ্চর্য, হতবুদ্ধিকর, অদ্ভুত হাস্যরসে ভরা এই চারটি গল্পের সব থিম ছাপিয়ে বেঁচে থাকে ফ্রানৎস কাফকা নামের মৃত্যুপথযাত্রী এক ‘অবিশ্বাস্য সৎ লেখকের বিদায়বেলার সুর।। সঙ্গে থাকছে ভূমিকা ও প্রতিটি লেখার বিশদ পাঠ-পর্যালােচনা।