রতনতনু ঘোষের চিন্তা আধুনিকতার ভারবাহী। তাই তাঁর ভাবনা বর্তমান মোবাইল কালচার থেকে রাজনীতি ও দেশমাতৃকা অবধি। প্রয়োজনীয় তথ্যনির্ভর হয়েই তিনি নিজ চিন্তায় বাস্তবতার সঙ্গে ভাব-সম্পদের সংযুক্তি ঘটিয়েছেন। ফলে বিশ্বব্যাপী যে সামাজিক পরিসর গড়ে উঠেছে তা ধরা পড়েছে তাঁর লেখনীর পুরোভাগে। ফেসবুক সংস্কৃতি কিংবা ডিজিটাল লাইব্রেরি সাহিত্যের উত্তরাধুনিকতার মনোপ্রবণতাও একই রঙপরিসরে অঙ্কিত হয়। কোনো বিষয়কেই খাটো করে দেখেননি প্রাবন্ধিক। কোনো বিষয়কেই জড়প্রক্রিয়ায় করেননি খণ্ডিত। দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবনাগুলো আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়ে। তিনি আপামর জনগণের স্বপ্নের সঙ্গে মিশিয়ে দেন দেশমাতৃকার রঙ। ফলে লেখাগুলো হয়ে ওঠে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র কুঠার। যে কুঠার অপসংস্কৃতি ও অসভ্যতা ভেঙে গড়তে চায় উৎকর্ষময় নতুন সমাজ।