“জয় আসলে ভারতের” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বৃহৎ ও শক্তিধর হওয়ার দাপটে দৌরাত্মে,অন্যায় খবরদারিতে প্রতিবেশী দেশগুলাে অতিষ্ঠ। ভারতের আধিপত্যবাদী আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে আগুনঝরানাে কলম ধরেছেন নির্ভীক ও সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক সময়ের স্পার্টাকাস মাহমুদুর রহমান। কাঁটাতারে ঝুলছে গুলিবিদ্ধ কিশােরী ফেলানীর লাশ, একতরফা ও অযৌক্তিক সব খাঁই। মেটাতে গিয়ে ছােট পড়শী বাংলাদেশের মানুষ রিক্ত, স্তম্ভিত, নিঃস্ব। উজানে ব্যাপক পানি প্রত্যাহারের অনিবার্য পরিণতি মর্মান্তিক মরুময়তা, তিস্তা চুক্তির মুলাে, সীমান্তে হতভাগ্য বাংলাশেীদের রক্তের বন্যা, ট্রানজিটের নামে করিডাের নেয়ার অন্যায় ও অসম চাপ। ভারতের মিথ্যা আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিতে বিভ্রান্ত জ্ঞানপাপী একশ্রেণীর। রাজনীতিক, সুশীল (!) অবলীলায় বিকিয়ে দিচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতভূমির স্বার্থ । জলাঞ্জলি দেয়া হচ্ছে দেশের। সার্বভৌমত্ব। এই গ্রন্থ সেসব ভণ্ডামি ও তােষণের মুখােশ উন্মোচন করার বিশ্বস্ত ও হৃদয়গ্রাহী দলিল। এইসব লেখার বিষয়, বিশ্লেষণী। গভীরতা সতর্ক সচেতন করে তােলে ঘুমন্ত জনগণকে । এই। কাজ কবির ভাষায়- আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। মজলুম সাংবাদিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সত্যনিষ্ঠতা ও সাহসের মাশুল গুনে চলেছেন নিরন্তর। কারাভােগ করেছেন, অফিসে দীর্ঘ বন্দিত্ব হাসিমুখে বরণ। করে নিয়েছেন, কিন্তু আপােসের চোরাবালিতে নিজের এবং নিপীড়িত মুক্তিকামী দেশবাসীর বিশ্বাস, স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষাকে কিছুতেই নিমজ্জিত ও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে দেননি। শির দেগা নেহি দেগা আমামা। এ লড়াই অনন্তের ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর।