১৫৫৬ সন| সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু এবং আকবরের ক্ষমতায় আরোহণ। শুরু হলো রুলার অভ দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর রাজকীয় উপাখ্যান। মাত্র ১৩ বছর বয়সে মোগল সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট আকবর। ইতিহাসে যোগ হলো এক নতুন মাত্রা
দীর্ঘ শাসনামলে সম্রাট আকবর এতোটাই সফল ছিলেন যে, ভারতীয় উপমহাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড জুড়ে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই পরবর্তী প্রজন্ম এবং বংশধর তার কীর্তিগাথা ও কাহিনী শুধু হিন্দুস্তানেই নয়- সমগ্ৰ ভারতবর্ষে প্রচার করেছে। আকবরের কাজের ধারাবাহিকতা ছিল নিখুঁত এবং অনন্য। তাঁর শাসনামলে ঐতিহ্য, ক্ষমতা এবং সাংস্কৃতিক মিলনের সেতুবন্ধন রচিত হয়েছিল। তিনি যে শুধু শক্রিকে পরাস্ত করেছেন অথবা দক্ষভাবে তাঁর সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছেন তা-ই নয়, সেইসাথে সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি সাধনেও একনিষ্ঠ ছিলেন।
আকবর ছিলেন একজন সফল যোদ্ধা। শক্রকে কীভাবে সহজে ঘায়েল করা সম্ভব তা তিনি ভালোই জানতেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্রও হয়েছিল। দুগ্ধভ্রাতা আদম খান তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরই হেরেমখানায়। কিন্তু তা সফল হয়নি
মোগল সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন নিয়ে যতো বই, দলিলপত্র উপস্থাপিত হয়েছে তাতে রয়েছে সামরিক শাসন, তাদের ঔদ্ধত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শাসনক্ষমতা দখল ইত্যাদি। এর সমস্ত কিছুই রুলার অভ দ্য ওয়ার্ল্ড বইতে তুলে ধরা হয়েছে। এই বইয়ের প্রতিটি স্তরে লেখক চেষ্টা করেছেন সম্রাট আকবরের প্রকৃত রূপটি তুলে ধরার জন্য। এ সম্বন্ধে বাস্তব তথ্যচিত্র তুলে ধরাই বইটি রচনার মূল উদ্দেশ্য।