ফ্ল্যাপে লিখা কথা
এক-একটি ভালোবাসার গল্প বন্দি হয়ে থাকে কবিতায়। একজীবনের চাপা অভিমান প্রতিটি লাইনকে আরো গাঢ় করে দেয়। শব্দের পরে শব্দ গেঁথে রচিত হয় প্রতিটি ছন্দ। ছন্দ একসময় সুর তোলে। কোনো পাঠক কিংবা শ্রোতা হঠাৎ-ই বলে ওঠে আমার কথা কবি জানল কি করে? এই হয়তো কবিতা। কবিতা অনুভূতির শিল্পিক প্রকাশ। পাঠকের কথা কবি জানেন না।ভ কবি তাঁর নিজের কথা বলেন। পার্থক্য এতোটুকুই যে, তিনি বলতে পারেন। সে কথা অন্যেরা অনুভব করে। সুখ দুঃখের অনুভূতি সবার একই। এ জন্যেই কবিতা ভাল লেগে যায়। কবি ফয়সাল শাহ মূলত প্রকৃতি ও প্রেমের কবি। সবকিছুকেই তিনি ভালোবাসার প্রলেপ দিয়ে মানবতাকে মূখ্য করে কল্যণের গান শোনাতে চান। মাটি-মানুষকে ভালোবেসে তিনি কবিতা লেখেন।
‘প্রেম-প্রেমাঞ্জলি’ বইয়ে কবি ফয়সাল শাহ যে প্রেমের নৈবেদ্য নিবেদন করেছেন তা সার্থক। কারণ, কবিতাগুলো পড়ে যে কারো মনে হবে পঙ্ক্তিগুলো হয়তো আমাকে নিয়ে লেখা কিংবা আমি লিখতে চেয়েছিলাম।