ফ্ল্যাপে লিখা কথা
একজন অন্ধও একটি সুন্দর মেয়েকে ভালোবাসতে পারে আবার একটি বোবা মেয়েও মুখের ভাষা ছাড়াই বুকের কথা অন্য একটি ছেলেকে জানিয়ে দিতে পারে। প্রেম ধনী-গরীব, শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল নারী পুরুষের হৃদয়েই আছে। তবে বাতাসের মতো বিনে পয়সায় এই জিনিসটি নির্বিঘ্নে পাওয়া যায় না। আগুন দিয়ে কোন পদার্থকে যেমন মূল্যবান জিনিসে রূপ দেয়া যায় তেমনি আগুন দিয়েই মূল্যবান জিনিসকে ছাই করে ফেলা যায়। প্রেম একই ভাবে বাতাসের মত সহজলভ্য আবার হীরকের মতোই মূল্যবান। এ গল্পটিতে অন্ধ প্রেমিক আর বোবা প্রেমিকার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দুজন ছাত্রছাত্রীর জীবন যৌবিনের কাহিনী বিধৃত হয়েছে। আগুন দিয়ে যার শুরু ছাই হওয়ার আগেই তার উদ্দেশ্য সাধন করতে হয়। অন্যথায় প্রিয়জনের কাছ থেকে সুখের বদলে চরম দুঃখ পেতে হয় । গল্পের নায়ক নায়িকাও নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনার দ্বারা দুঃখ পাওয়ার আগেই একে অন্যকে পেয়েছিল।
গল্পে নায়ক নায়িকার চরিত্রিই মূখ্য একথা সকল গল্পের বেলাই সত্য। তবে একটি গল্পে নায়ক নায়িকা বাদেও কিছু পার্শ্বচরিত্র থাকে যারা জীবন যৌবনের ধাপ অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন । তাদের মধ্যে কেউ ছেলে মেয়েদের পক্ষে ভূমিকা রাখেন আবার কেউ বিপক্ষে দাঁড়ান। বয়স্ক পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকা ছেলেমেয়েদের রোমান্টিক প্রেমেকে কেবল হৃদয়গ্রাহী করে তোলে না তা প্রেমবোধকে একটি শাশ্নতিক রূপ দেয় । তাছাড়া কোন মানুষই তার নিজের সমাজের বাইরে নয়। সমাজে বাস করতে হলে সকলকে একটা স্থান করে নিতে হয়। জীবনে প্রতিষ্ঠা না পেলে প্রেমকে সার্থক করা যায় না।জীবনে প্রতিষ্ঠা না পেলে প্রেমকে সার্থক করা যায় না। অন্ধ প্রেমিক বোবা প্রেমিকায় রোমান্টিক প্রেমের পাশাপাশি আমাদের সমাজ এবং জীবনের প্রতিষ্ঠার গল্পও রয়েছে।