ভূমিকা
একটি প্রশ্ন খুব সরল-সোজা : কেনো বর্তমান কালে রুমীর এতো সব অনুবাদ? কেনো-ই-বা আটশ’ বছর পরে এসেও রুমীর আবেদন এতো গাঢ ও গভীর? এই যে নিত্য-নতুন অভিঘাতময় শব্দমালা, চিত্র-দৃশ্য, গ্রন্থরাজি, সংবাদপত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন-কম্প্যুটার, ইত্যাদি-তারপরও রুমীকে স্পর্শ করার, অভিনিবেশ সহকারে পাঠ করার সময় কোথায়? হ্যা, তারপরও কিছু থাকে। সেই থাকা রুমীতে-তাঁর নিঃশব্দতায়, তাঁর স্বপ্ন-চিত্রময়তায়, অতি চেনা, অতি চেনা, অতি জানাকে ফিরিয়ে দেয়ায়। তাঁর কবিতা আনন্দময় ও সুখের, আত্মভৃপ্তি ও বেদনার-এবং অনন্ত ভ্রমণের। আজকের পৃথিবীতে যখন কেবল চাওয়া আর চাওয়া-ই সার, তখন রুমী নিয়ে যান জগতের মধ্যে অন্য নিরাপদ আশ্রয়ে, আত্মা যাঁর একান্ত সম্বল। সুখের খোঁজ করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন নিজেকে।রুমীকে যদি জগৎ-ভ্রমণের সঙ্গী হিশেবে পাওয়া যায়-তবে তিনি মহিমার অন্য এক প্রান্তরে এনে আমাদের পূর্ণ করেন, আমাদের দেখান স্মিত ও প্রখর সূর্যের কিরণ। আমরা বাগান থেকে মালির কাছে যাই, যাই শরীর থেকে সেই অন্তর্গত আঁধারে; অবগাহন করি গভীর সমুদ্রে। বন্ধুর আকাঙ্খায় নদীর মতো প্রবাহিত হই, পাখির মতো উড়ি।ভালোবাসার এক মধুময় সন্ধান দেন রুমী।