লেখক পরিচিতি
কবি, প্রাবন্ধিক-গবেষক, কলামিষ্ট, কথাসাহিত্যিক হিসেবে গাউসুর রহমান স্ব-চিহ্নিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কবি হিসেবে তিনি নিজস্ব ‘চড়বঃরপ ফরপঃরড়হ’ অর্জনের জন্যে সচেষ্ট। নতুন কণ্ঠস্বরের অধিকারী এই কবি প্রাবন্ধিক-গবেষক হিসেবে তুখোড় মেধাবী; তাঁর বিশ্লেষণ অনবদ্য, নিজস্ব মন্তব্য অসাধারণ। প্রাবন্ধিক-গবেষক হিসেবে নিঃসন্দেহে তিনি অমিত সম্ভাবনার বর্ণিল স্মারক। নজরুল, জসীম উদ্দীন, ফররুখ আহমদ, শামসুর রাহমান সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব গ্রন্থ রয়েছে। নজরুল সম্পর্কে তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা চার। আরও দু’টি প্রকাশের অপেক্ষায়। রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ সম্পর্কে দু’টি গ্রন্থ যন্ত্রস্থ। এছাড়া বাংলা সাহিত্যের এমন কোনও উল্লেখযোগ্য কবি নেই, যাঁর সম্পর্কে তিনি প্রবন্ধ রচনা করেননি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, জার্নালে তাঁর অনেক প্রবন্ধ ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে এবং তা পাঠকনন্দিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা বিশ।
আল মাহমুদ সম্পর্কে গাউসুর রহমানের গ্রন্থটিও নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত। আল মাহমুদের কবি স্বভাব, কবিত্বশক্তির অভিনবত্ব, কবি হিসেবে মৌলিকত্ব তিনি নিজস্ব মননে, বিশ্লেষণ করেন। নিঃসন্দেহে গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আমরা আশাবাদী।
অধ্যাপনায় নিয়োজিত গাউসুর রহমান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ; পরবর্তী সময়ে তিনি এলএলবি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ও সুগৃহিনী, মমতাময়ী মা হোসনে আরা বেগমের জ্যেষ্ঠপুত্র গাউসুর রহমান স্ত্রী কামরুন নাহার ও পুত্র সুহৃদ রহমানকে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন।
ফ্ল্যাপে যাবে
আধুনিক বাংলা কবিতার এক স্পর্ধিত নাম আল মাহমুদ। লোকজ বিষয়-আশয়কে কিভাবে আধুনিক মাত্রা ও আয়তন দেয়া যায়, তাঁর কবিতা সে সাক্ষ্যই বহন করে। আল মাহমুদ তাঁর কবিতার জন্যে অর্ন্তজগৎ, কল্পনার জগতকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বাস্তব জগৎ কবির জন্যে প্রকৃত সত্য নয়; প্রকৃত সত্য হচ্ছে অর্ন্তজগৎ ও কল্পনাজগৎ। এর পরও আল মাহমুদের কবিতা বস্তু ও কল্পনার আশ্চর্য মিশেলে অভূতপূর্ব।
মৌলিক কবি প্রতিভার অধিকারী এই কবি ত্রিশোত্তর বাংলা কবিদের মধ্যে শামসুর রাহমানের পাশাপাশি উচ্চারিত নাম। কেবল উচ্চারিত নয়; প্রতিভায় ও সৃজনশীলতায় একই সমান্তরালে। নারী ও প্রেম আল মাহমুদের কবিতায় এক ও অভিন্ন। প্রেম সেখানে যৌনতার প্রতীক। কিন্তু যৌনতা পরকীয়া এমন কথা বলা যাবে না। আল মাহমুদের কবিতায় লক্ষ্য করা যায় নারী ও স্বদেশের আলিঙ্গন। কখনো কখনো মনে হয় নারীই স্বদেশ, স্বদেশই নারী। সাম্যবাদ আল মাহমুদের কবিতায় এসেছে মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে নয়; বরং মানুষ ও মানবিকতাকে পরিচর্যা করার জন্যে। আল মাহমুদের কবিতার ‘ভিতর-বাহির’ নিয়ে কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক গাউসুর রহমান লিখেছেন ‘আল মাহমুদের কবিতার বিষয়-আশয়’ গ্রন্থটি। যা আল মাহমুদের কাব্য পাঠের ভূমিকা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। ‘আল মাহমুদের কবিতার বিষয়-আশয়’ গ্রন্থটি আল মাহমুদের কাব্যগবেষণার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ-এর ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। কবি ও গবেষক হিসেবে গাউসুর রহমান তাঁর সৃজনশীলতা ও মনণশীলতা দিয়ে আল মাহমুদের কবিতাকে কিশ্লেষণ করেছেন তুখোড় বিশ্লেষণী ক্ষমতায়, অব্যাহত অনুসন্ধানে। মেধাবী এই গবেষক আল মাহমুদ চর্চার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
কবি রফিক আজাদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মহাদেব সাহা, কবি আসাদ চৌধুরী, কবি আল মুজাহিদী, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি হেলাল হাফিজ, কবি মুশাররাফ করিম, কবি নাসির আহমেদ, কবি সোহরাব পাশা, গবেষক জুলফিকার হায়দার, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কবি মাহবুব হাসান, কবি শাহীন রেজা, কবি আশরাফ মীর, কথাশিল্পী হুমায়ুন মালিক, কথাশিল্পী মঈনুদ্দীন কাজল, কথাশিল্পী ফাইজুস, কবি তপন বাগচী, সালেহীন, কবি সৌরভ জাহাঙ্গীর, কবি জাকির আবু জাফর, কবি ফয়সলশাহ, মাহবুব আজীজ, কবি জন্নু রাইন, ডা. আনিসুর রহমান (সুমন), কবি সৈয়দ সারোয়ার, কবি আসাদ উল্লাহ, সাপ্তাহিক ফুলখড়ি সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান, কবি জামাল উদ্দীন।