নারী কণিকাবিদ মাে. মােশাররফ হােসেন ভূঞা। তাঁর ‘নারী কণিকা’ পাঠ করতে করতে আমার মনে হচ্ছে, আসলেই কী এগুলাে কণিকা? নাকি একজন কবির অনুভবের বিশাল রাজ্যপাঠ? একের পর এক ‘নারী কণিকা’ কোন ঘােরের ঘােরে বা উচাটন মনের বুভুক্ষ প্রণােদনায় তিনি লিখতে পারলেন? কবি তাঁর মর্মলােকে ধারণ করেন অনুভব শক্তির অমিত তেজ। নিতে পারেন চ্যালেঞ্জ। দিতে পারেন নতুন নতুন কাব্যধারণার মঙ্গলসূত্র। সেই সূত্রের অন্তঃপুরের বয়ন তাে শেষ পর্যন্ত কবিকেই করতে হয়। কবি এখানে নির্মাতা। ত্রাতা। জীবন বীক্ষণের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন দ্রাক্ষা বিজয়ী, নারীর অঙ্গ যেনাে এক আনন্দনগর
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জোছনার আদর
নাভির পাদ দেশে মােলায়েম কেশ
অদূরে কুসুম কোমল অদ্ভুত দেশ