“তৃতীয় প্রজন্মের কাছে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ভারত-বিভক্তির সামান্য আগে-পরে বা ঐ সময়ে যাদের জন্ম তারা যদি প্রথম প্রজন্ম হয় তাহলে তাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের জন্ম বাংলাদেশ-উত্তরকালে। এর পরের প্রজন্ম অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের স্বপ্ন-বাস্তবতা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের। কিন্তু এই প্রজন্মের তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের মতাে আবেগ নেই, কিংবা থাকলেও তা ন্যূনতম। তারা সাধারণত বুদ্ধি ও বাস্তবতা দিয়েই সবকিছু বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে চায়। কিন্তু মানুষ কখনও আবেগ ও সংবেদনশীলতাবর্জিত হয়ে অথবা হৃদয়হীনভাবেও বাঁচতে পারে না। মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের পারস্পরিক যােগাযােগই তাকে সম্পূর্ণ করে তােলে ও সুস্থ রাখে। তৃতীয় প্রজন্মের ক্ষেত্রে একথা আরও বেশি প্রযােজ্য। এই বইয়ের লেখাগুলাে উল্লিখিত প্রথম প্রজন্মের। কিন্তু তা দ্বিতীয় প্রজন্ম হয়ে তৃতীয় প্রজন্মের কাছে পৌছুবে বলেই আশা করা যায়। তৃতীয় প্রজন্মের একটি চরিত্র বাস্তব। কিন্তু তার চেয়ে বেশি সত্য ঐ প্রজন্ম। সেই প্রজন্মের কাছে পৌছুনােই এই বইয়ের লক্ষ্য।