সমগ্র বাংলাদেশকে একটি বটগাছের নিচে আনা যায় যে শিল্পমাধ্যমে তা হচ্ছে পুথি। বাংলার প্রাচীন এ শিল্পমাধ্যম থেকে আমরা নতুন প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছি। নিজের শেকড়কে ভুলতে-ভুলতে বহুজাতিক এ পৃথিবীতে একসময় বাঙালি হয়ত হয়ে পড়তে পারে পাসপোর্ট হারানো অভিবাসীর মতো। তাই প্রয়োজন নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে একাত্ম হওয়া, সাহিত্যের এ পুরনো মাধ্যম ধরে নিজের শেকড়ের সন্ধান করা। জানা প্রয়োজন নিজের শেকড়ের স্বরূপ। কাব্য কামরুল মহানগরের নাগরিকের কাছে উপযাজকের মতো তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন এ পুথি। তার পুথি মনে করিয়ে দিচ্ছে ক্ষয় হওয়া মনুষ্যত্বের কথা, দেশপ্রেমের বয়ান। নাগরিক সমাজে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন ‘আধুনিক পুথিশিল্পী’ হিসেবে। মূলত পরিবেশনার মাধ্যমেই ধরা পড়ে পুথির আসল আবেদন। কেবল টেক্সটের মাধ্যমে সে আবেদনকে স্পর্শ করা সম্ভব নয়। কাব্য কামরুলের নির্বাচিত টেক্সটগুলি, উপস্থাপনার কিছু আলোকচিত্র এ প্রকাশনায় সংযুক্ত করা হল। কবি, গবেষক হিমেল বরকত এতে লিখেছেন পুথির ধারণাসংক্রান্ত গদ্য। লিখেছেন সাইমন জাকারিয়া।