“ক্রিকেট খেলার আইন-কানুন” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ক্রিকেট খেলার জন্ম ইংল্যান্ডে। ক্রিকেটের আক্ষরিক অর্থ এবং “ক্রিকেটের পিতামহ” ডব্লিউ জি গ্রেসের কথা জানেন না অনেকে। ধুমধাক্কা ও রেসলেস ব্যাটিংয়ের জন্য T-20 এখন বেশ জনপ্রিয়।
সম্প্রতি ক্রিকেটের ওডিআই ফরম্যাটে বেশ কিছু পরিবর্তন, পরিমার্জনের সুপারিশ করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একই সুরে কথা বলছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বাের্ড (বিসিসিআই)। ওডিআইতে ৩০ গজ সীমানার বাইরে মাত্র চারজন ফিল্ডার রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। স্পিনারদের জন্য এটা সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ। কারণ মাঝের ওভারগুলােতেই তাদেরকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এই সময়টাতে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে মাত্র চারজন ফিল্ডার থাকলে স্পিনাররা যে অসহায় হয়ে পড়বেন, এটা বােধহয় কেউ ভাবেনি।
উল্টোদিকে আইসিসি এবং বিসিসিআই ওভারপ্রতি দুটো বাউন্সারের আইনে সমর্থন জানিয়েছেন। পেসারদের প্রতি নির্লজ্জ সমর্থনের ইঙ্গিত এটি।
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ঐতিহাসিক একটি দিন। সেদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নেমেছিল অভিষেক টেস্ট খেলতে। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ এক যুগ পূর্ণ হয়েছে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর। এই সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৭৩টি টেস্ট ম্যাচ। তাতে জয় ৩টি, হার ৬৩টি আর অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে ৭টি ম্যাচ। এক যুগ আগের সেই বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ দলের পার্থক্য অনেক। ক্রিকেট খেলার আইন কানুন এ বইটিতে ক্রিকেট খেলার আইন কানুনসহ ক্রিকেটের অনেক জানাঅজানা বিষয় স্থান পেয়েছে। আশা করি ক্রিকেট ভক্তরা এ বইটি পড়ে উপকৃত হবেন।