“নবরূপে বাকশাল” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
মাহমুদুর রহমানের এসব লেখা দৈনিক আমার দেশ ও দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রকাশ হয়েছিল ডিসেম্বর ২০০৮ থেকে ৩০ মে ২০১০ পর্যন্ত। তিনি ৪ জানুয়ারি ২০০৯-তেই আশঙ্কা করেছিলেন, ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়বে। ৬ জানুয়ারি ২০০৯-এ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ঠিক সেদিকেই গেছে। মাহমুদুর রহমানের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে। ‘১৪ জুন ২০০৯-এ তিনি আওয়ামী সরকারের বাজেটের সত্য-মিথ্যার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। তার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দুটি লেখা হচ্ছে, ‘স্বাধীনতা বেচে স্বাধীনতার ঋণ শােধ এবং আওয়ামী লীগের ঋণ বাংলাদেশ শােধ করবে কেন?’ এই দুটি। লেখাতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে জোরাল আবেদন রেখেছেন। বস্তুত, ফেলানি যুগে যখন একটি অসম চুক্তির আওতায় ট্রানজিটসহ ইন্ডিয়ার বিভিন্ন দাবি মেনে নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, তখন মাহমুদুর রহমানের লেখার অভাব দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীরা প্রচণ্ডভাবে অনুভব করছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০-এ ‘সততায় পারবেন না প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক রচনায় মাহমুদুর রহমান যে ব্যক্তিগত ‘চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন সেটাও সত্য। ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সরকার যখন বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী, বহু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ব্যবসায়ী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সত্য-মিথ্যা দুর্নীতির মামলা শুরু করেছিল, তখনও তারা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনাে অভিযােগ আনতে পারেনি। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায়, সততার | চ্যালেঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেরে গেছেন। বস্তুত, তাকে বন্দি রাখার মূল কারণ এটাই।