“কমলাকান্তের দপ্তর” বইয়ের প্রথম অংশের লেখাঃ
১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট (১২৮০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র) মাসে ‘বঙ্গদর্শনের’ দ্বিতীয় বর্ষের পঞ্চম সংখ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় কীর্তি ‘কমলাকান্তের দপ্তর : প্রথম সংখ্যা (রসরচনা) আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ‘বঙ্গদর্শনের বিভিন্ন সংখ্যায় দপ্তরের রচনাগুলি প্রকাশ পেতে থাকে। ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিকে ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্করণের বিজ্ঞাপনে’ বঙ্কিমচন্দ্র লেখেন,
“কমলাকান্তের দপ্তর বঙ্গদর্শন হইতে পুনর্মুদ্রিত করা গেল। বঙ্গদর্শনে যে কয় সংখ্যা প্রকাশ করা হইয়াছে, তাহার মধ্যে চন্দ্রালােকে’, ‘মশক’ এবং স্ত্রীলােকের রূপ এই তিন সংখ্যা আমার প্রণীত নহে, এই জন্য ঐ তিন সংখ্যা পুনর্মুদ্রিত করিতে পারিলাম। বঙ্গদর্শনে কমলাকান্তের দপ্তর সমাপ্ত হয় নাই। এই জন্য এই গ্রন্থের নামকরণে ‘প্রথম খণ্ড’ লেখা হইল।
‘কমলাকান্তের দপ্তরের’ প্রথম সংস্করণে শ্রীভীষ্মদেব খােশনবীসের ভূমিকাসহ নিম্নলিখিত দপ্তরগুলি সংকলিত হয়: একা- কে গায় ঐ, মনুষ্য ফল, ইউটিলিটি বা দর্শনদ্বয়, পতঙ্গ, আমার মন, বসন্তের কোকিল, বিবাহ, বড়বাজার, আমার দুর্গোৎসব, একটি গীত ও বিড়াল।
‘চন্দ্রালােকে’ ও ‘মশক’ অক্ষয়চন্দ্র সরকারের এবং স্ত্রীলােকের রূপ রাজকৃষ্ণ মুখােপাধ্যায়ের লেখা বলে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থের মধ্যে ঠাই মেলেনি।