তিনটি ক্লাসিক কাহিনি একত্রে ভলিউম আকারে প্রকাশিত হলো। বিচ্ছিন্ন একটা দ্বী, সেখানে আছে অত্যন্ত সুরক্ষিত এক গবেষণাগার। অদ্ভুত কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় সে-দ্বীপে, যারা আসলে মানুষ কিনা বোঝা যায় না প্রথমে। অদ্ভুত, রহস্যময় ঘটনার সঙ্গে পরিচয় ঘটল লেখকের…‘ডক্টর মরোর দ্বীপ’ এর কাহিনি এভাবেই শুরু হয়েছে। জাহাজ কিংবা স্টিমার নয়, ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার এক দুঃসাহসিক অভিযাত্রা শুরু হলো। লেখক থর হেয়ারডল , ও সঙ্গে আরও পাঁচজন দুঃসাহসী সঙ্গী । শেষ পর্যন্ত তারা কি এই অভিযানে সফল হতে পেরেছিল…? ‘কনকিটি অভিযান’ পড়লে উত্তর মিলবে সবকিছুর। এখানে ‘রুদ্র প্রয়োগের চিতা’ থেকে সামান্য তুলে দিচ্ছি: ছাগলটার কাছ থেকৈ মাচান মাত্র বিশ ফুট দূরে। কিন্তু গাঢ় অন্ধকারের জন্য ছাগলটার কিছুই আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। চোখ বুজে শব্দ শুনতে পাওয়ার জন্যে মনো নিবেশ করাই এই অবস্থায় শ্রেয়। ছোট্র একটা টর্চ লাইট ফিট করা ছিল রাইফেলের নলে। বলাই বাহুল্য, নলটা ছাগলটার দিকে ফেরানো ছিল। হঠাৎ গাছের গোড়া থেকে কী যেন একটা ছুটে গেল আর সেই সাথে জোরে বেজে উঠল ছাগলের গলার ঘণ্টাটা টর্চের বোতামের উপরই আঙুলটা ছিল। বোতামটা টিপতেই দেখলাম রাইফেলের নিশানা চিতার কাঁধে ঠিকঠাক মত সই হয়ে রয়েছে। ট্রিগার টিপে দিলাম। গুলির শব্দ উপত্যকার মধ্যে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। ঘরের দরজা খুলে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করল পণ্ডিত, আমার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা। জবাব দেবার মত অবসর ছিল না আমার। পণ্ডিত বেশিক্ষণ অপেক্ষা না করে তাড়াহুড়া করে বন্ধ করে দিল তার দরজা….তিনটি ক্লাসিক কাহিনির এই ভলিউমটি যে পাঠকপ্রিয়তা পাবে, কতা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।