”না-মানুষী বিশ্বকোষ- ১” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা
জীবজগতে মানুষ আজ ’বড়দা’। অন্তত নৈতিক দিক থেকে ছােটভাইদের দেখভাল করার দায়িত্ব তার অনস্বীকার্য। কিন্তু তার আগে ওদের ভালবাসতে হবে এবং তারও আগে প্রয়ােজন তাদের নিবিড়ভাবে চেনা। ইংরেজিতে এ-বিষয়ে প্রতিবছরই অনবদ্য সব গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে। আর আমরা কিশাের-বয়স্কদের জন্য ক্রমাগত লিখে চলেছি শিকারের বই। বড়দা’র দায়িত্ব সম্বন্ধে কিন্তু একজাতের মানুষ চিরকালই সজাগ। গত শতাব্দীতেই রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মতাে মনীষীও চেষ্টা করেছিলেন পশু পাখি জীবজন্তুর সঙ্গে বাঙালী পাঠকের ঘনিষ্ঠ পরিচয় করিয়ে দিতে। গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের বাংলার কীটপতঙ্গ’ আর একটি দিকচিহ্ন। পাখির বিষয়ে সালেম আলি এবং অজয় হােমের কৃতিত্বও স্মর্তব্য। কিন্তু সমগ্র প্রাণীজগত নিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও তত্ত্বের একটা সমাবেশের অভাব আমরা বােধ করে এসেছি চিরকাল। আলােচ্যগ্রন্থে যাবতীয় জীবজন্তু পশুপাখিকীট-পতঙ্গের মৌল তথ্য পরিবেশিত হলেও সার্বিক আলােচনা সীমিত হয়েছে অমেরুদণ্ডী রাজ্যে। দ্বিতীয়-খণ্ডটি মেরুদণ্ডী জীবের বিষয়ে এ-গ্রন্থের পরিপূরক।