ভূমিকা
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য দেব-দেবী নির্ভর গাঁথাকাব্যের সীমায় আবদ্ধ ছিল। সহিত্য চর্চার এ ধারা ভেঙ্গে বাঙলা সাহিত্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় জেগে উঠে উনিশ শতকের প্রথমভাগে। এ সময় পাশ্চাত্যের রেনেসাঁ-উত্তর প্রভাব বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ করে বাংলা সাহিত্যকে আদুনিকতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ঊনিশ শতকের প্রথমভাগ তাই বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার সূচনাকাল। মধ্যযুগের দেব-দেবী , ধর্ম বিশ্বাস, ঈশ্বর বন্দনা ইত্যাদির বদলে মানুষের চিরচেনা সেই গাঁথাকাব্য ধারায় আধুনিকতার এ নতুন ধারা প্রকাশ করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় বাংলা সাহিত্যের শিল্পরূপ বাঁক নেয় নতুন পথে। সৃষ্টি হতে থাকে বাংলা সাহিত্যের নতুন নতুন শিল্পশাখা। পদ্যভাষায় সেসব হলো-মহাকাব্য , অমিত্রাক্ষর ছন্দ, সনেট, গীতিকবিতা, গীতিনাট্য ইত্যাদি। আর গদ্যভাষার স্বরূপতা অবিহিত হয় ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি নামে।